আওয়ার ইসলাম: জামালপুরের ইসলামপুর বিজ্ঞ আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কওমি হাফিজিয়া মাদরাসার জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে ফসলি জমির মরিচ ও সাইনবোর্ড গায়েব, দখল, ঘর উত্তোলনে একাধিক মামলাও হয়েছে।
সূত্রমতে জানা যায়, মামলার অভিযোগে উপজেলার গোয়ালের চর ইউনিয়নের মালমার মৌজার আরওআর ২২২১ খতিয়ানভূক্ত আরওআর ১৫৩নং দাগের ২.১২ শতাংশ হতে সাব কবলা ৩৮৭ নং দলিল ১৩/০১/৭১ইং মূলে ১৬.৫০ শতাংশ আমিরন নেছা এবং ১৬/০২/৭৬ ইং ১৯২৪ নং সাব কবলা দলিল ২০ শতাংশ জমি মোঃ আঃ ছাত্তার, মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক,মোঃ দেলোয়ার হোসেন দুলাল উদ্দিনগন খরিদে ভোগ দখল করে আসছেন।
সে মোতাবেক বিআরএস রেকর্ডে মাতার অংশসহ মোট ৩৫ শতাংশ জমি তিন ভাইয়ের নামে রেকর্ড হয়। আঃ সাত্তার গং মরহুম পিতা ও মাতার নামে মরহুম জমর উদ্দিন ও আমিরন নেছা কওমি হাফিজিয়া মাদরাসার সিন্ধান্ত নিয়ে নিঃস্বর্তভাবে মাদরাসার নামে দানপত্র রেজিষ্ট্রি প্রদান করেন।
মাদরাসা করার সংবাদ শুনে পার্শবর্তী আজিজল মিয়া গং নিজের জমি দাবী করে জবর দখলের চেস্টা করে। উক্ত ঘটনায় ইসলাম পুর থানায় আঃ ছাত্তার পরপর কয়েকটি সাধারন ডাইরী করেন। আঃ ছাত্তার বলেন- উক্ত জমির পূর্ব ও পশ্চিমে মাদ্রাসার দুইটি সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়। মাদরাসা ঘর উত্তোলনের উদ্যোগ নিলে আজিজল গংরা স্থানীয় মতি মিয়া ও খোকা মিয়া পরস্পর যোগসাজস যড়যন্ত্র করে মাদ্রাসার কাজে বাঁধা দেয়।
জোড়পূর্বক ঘর উত্তোলনের মাধ্যমে ভূমি জবর দখলের চেষ্টা করায় অতঃপর বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন মোকদ্দমা ১০৭/২০২০ইং দায়ের মুলে বিজ্ঞ আদালতে নালিশী ভূমিতে শান্তি শৃঙখলা রক্ষায় ফৌঃকাঃবিঃ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞা প্রদানে অফিসার ইনচার্জ ইসলামপুর থানা এবং দখল ও স্বত্ত সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এসি ল্যান্ড ইসলামপুর কে নির্দেশ প্রদান করেন। থানা কতৃপক্ষ উভয় পক্ষ বরাবর আদালতের পক্ষে ১৪৪ ধারার নোটিশ জারী করেন।
বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থায় জমি দখল ও ঘর উত্তোলন ও হুমকী প্রদান করায় বিবাদী আজিজল গং নালিশী ভূমিতে আর কখনো যাবেনা মর্মে আদালতে মুচলেকা প্রদান করেন। মুচলেকা প্রদানের পরেও তারা সাইনবোর্ড গাায়েব করে জমি দখলের চেস্টা করে। এতে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে গোয়ালের চর ভুমি উপ সহকারী জানান- সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি,আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তারা ঘর উত্তোলন করেছে বিষয়টি ন্যাক্কার জনক।
-এটি