শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল দুর্গাপুরে আগুনে পুড়ল কৃষকের গরু-ছাগল-গোয়ালঘর অন্যায় ভাংচুর যেভাবে অপরাধ, তথ্যসন্ত্রাসও তেমন অপরাধ: বায়তুল মোকাররমের খতিব

ডাক্তারদের সুরক্ষা না থাকায় যশোরে রোগী দেখা বন্ধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ব্যক্তিগত সুরক্ষা না থাকায় রোগী দেখছেন না যশোরের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ডাক্তাররা। তাদের অভিযোগ, তাদের সুরক্ষার ব্যাপারে ক্লিনিক মালিকরা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

জেলার চৌগাছা উপজেলার সলুয়া গ্রামের মোজাহার আলী ও কোহিনুর বেগম গত সোমবার সন্ধ্যায় তাদের ছয় মাসের অসুস্থ শিশুকে ডাক্তার দেখানোর জন্য শহরের একটি ক্লিনিকে গিয়ে সিরিয়াল দিতে চাইলে ক্লিনিক থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের কারণে কিছুদিন চেম্বার বন্ধ থাকবে। করোনা আতঙ্ক কাটলে তাদের ফোন করে জানানো হবে।

মোজাহার আলী উপায় না পেয়ে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে তার শিশুর ব্যবস্থাপত্র নেন। তার মতো আরো অনেকেই বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে ডাক্তারের সিরিয়াল না পেয়ে ফিরে গেছেন।

ডাক্তাররা জানান, বেসরকারি কোনো ক্লিনিকে রোগী না দেখলেও সরকারি হাসপাতালে তারা নিয়মিত রোগী দেখবেন। তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাস থেকে তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করলে তারা রোগী দেখার ব্যাপারে বিবেচনা করবেন বলে জানান।

ভুক্তভোগী রোগীরা বলছেন, প্রতিদিন বিভিন্ন ক্লিনিকে কমপক্ষে এক হাজার রোগী ব্যবস্থাপত্র নিয়ে থাকেন। করোনা আতঙ্কে বেসরকারি ক্লিনিকে ডাক্তার রোগী না দেখলে সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়বে। এতে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি হিমশিম খেতে হবে সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

এ ব্যাপারে বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ডাক্তার আতিকুর রহমান খান জানান, ‘সুরক্ষা চাই ঠিকই। তবে রোগী সেবা বন্ধ করে নয়। স্বাস্থ্য বিভাগের সকল ইউনিটের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ডাক্তাররা আন্তরিকভাবে সরকারি হাসপাতালে রোগী সেবা দিচ্ছেন। সকল ক্লিনিক মালিককে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চেম্বারে ডাক্তারদের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে নিতে বলা হয়েছে। এরপরও কেউ রোগী দেখতে না চাইলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যপার।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ