তানভীর সিরাজ।।
করোনা নামক ভাইরাসে আজকের অভাবনীয় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রাইভেট ও কওমি মাদরাসার তালিবুল ইলম এবং উলামা হযরতগণের সাথে বিশেষ কিছু আলোচনা ও পরামর্শ।
১. পারিবারিক পরিবেশে কুরআন শিক্ষা: পারিবারিকভাবে আমরা কুরআন কারিমের অনুশীলন করতে পারি। পিতা আলিম হলে সন্তানেরা ছাত্র হয়ে কুরআন মশ্ক করতে পারে, বা পারিবারিক হেফজখানায় পরিণত করতে পারেন পিতা৷
২. খাস তালিম: পিতা আলিম হলে সকল সন্তান তার কাছে কিতাবি দরস নিতে পারে। যেখানে নাহু-সরফ, বালাগাত-ফাসাহাত, উসুলে কুরআন ও উসুলে হাদিস-সহ প্রতিদিন প্রয়োজনীয় বিষয় নির্বাচন করে করে নির্ধারিত সময়ে খাস তালিম হতে পারে। অথবা যে ছেলে যে বিষয়ে দুর্বল তাকে নিয়ে সেই বিষয়ে মেহনত করতে পারেন মুহতারম পিতা।
৩. আম তালিম: পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে তাবলিগ জামাতের কায়দায় কিতাবে তালিমের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যাতে পরিবারে করোনার মালিকের পক্ষ থেকে করুণা করা হয়।
৪. সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন আমল: কুরআন মজিদ ও হাদিস শরিফে বর্ণিত সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন আমল আর দুআসমূহ যথাসময়ে নিজে এবং পরিবারের সবাইকে আদায় করার প্রতি তাগিদ করতে পারেন।
৫. কজবে হালাল: মাদরাসার খেদমতের পাশাপাশি অন্যকোনো হালাল আয়ের উৎস থাকলে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে পারেন, যাতে কজবে হালালের পথ প্রসারিত হয় এবং অভাব দূর হয়।
৬. ভিন্নচিন্তা: (আল্লাহ না করুন) যদি মাদরাসায় আসার আর সুযোগ নাও হয়, তাহলে খাছ ও আম তালিম করে করে প্রত্যেকের বাসা-বাড়ি এক একটি মসজিদ-মাদরাসায় রূপান্তরিত হয়।
৭. নামায: প্রতিদিন পাঁচওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে নিজে আদায় করা এবং পরিবারের সদস্যদের পড়তে বলা। নামাযের পর আয়াতুল কুরসি ও অন্যান্য মাসনুন আমল করা, করতে বলা।
আমরা আল্লাহ পাকের কাছে বিশেষভাবে দুআ মুনাজাত করি, যাতে তিনি বিশ্বের সকল মুসলিম নারী-পুরুষ আর বালবাচ্চাকে করোনার এই ভয়ংকর হামলা থেকে হেফাজত করেন। রক্ষা করেন। এবং সেইসাথে ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের জন্য দুআ করা, যাতে তারা আল্লাহর কুদরত ও শক্তি অনুভব করে ঈমান আনে। আমিন।
-এটি