আওয়ার ইসলাম: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া মসজিদের বর্ধিতাংশ ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে বিষয়টি অমীমাংসিত অবস্থায় আদালতের অধীনে রয়েছে।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালে সৌরাভ হোসেন ৮ শতক জমি মসজিদের জন্য দান করেন এবং ওই জমিতে পাকা মসজিদ ভবন তৈরি করে মসজিদ কমিটি। পরবর্তীতে ২০০০ সালে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল খালেকের কাছ থেকে ১৪ শতক জমির মধ্যে প্রথমে ২ শতক পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর ৪ শতক জমি ক্রয় করে মসজিদ কমিটি, রেজিস্ট্রি খরচ কমাতে দলিল দুইটি দানপত্র দলিল করা হয়।
এরপর জায়গা স্বল্পতার কারণে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে সমস্যা হওয়ায় বর্ধিত অংশে মূল ভবনের সঙ্গে টিনসেড দেওয়া হয়। সেখানে অতিরিক্ত মুসল্লিরা নামাজ আদায় করত।
কিন্তু পরবর্তীকালে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি জমিদাতার চাচাতো ভাই ছালামত, নজরুল ও সুনু গং লোকজন নিয়ে মসজিদের বর্ধিত (টিনসেড) অংশ ভেঙে দেয়। এরপর মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। একপর্যায়ে চলতি মাসের ২ তারিখে নয়জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়। পরে আদালত সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে যা এখনো বলবৎ রয়েছে।
মসজিদ কমিটির মো. মাহাবুব জানান, জমিদাতা আব্দুল খালেক ১৯৯৭ সালে তার চাচা একুববার মন্ডলের কাছ থেকে ওই জমি এওয়াজ বদলী করে এবং পাল্টা জমির সমতা আনতে সঙ্গে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরবর্তী সময়ে একুববার মন্ডল মারা গেলে তার ছেলেরা এওয়াজ বদলী রেজিস্ট্রি মনতে চায় না। তারই ফলশ্রুতিতে জমি দখলের উদ্দেশে তারা হামলা চালালে আশপাশের জনতা এবং মুসল্লিরা বাধা দেয়। বর্তমানে তারা মামলা তুলে নিতে নানাভাবে আমাদের চাপ সৃষ্টি করছে। আমরা চাই এলাকার মুসল্লিদের স্বার্থে বিষয়টার সুষ্ঠু সমাধান হোক। যেহেতু এটা আগেই এওয়াজ বদলি হয়েছে সুতরাং সেখানে কেন তারা হামলা চালাবে। এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমরা সকলে।
হরিনাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই ধারা ভাঙায় দুইজনকে ইতোমধ্যে আমরা গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে বিষয়টি সঠিক মীমাংসা করতে। যেহেতু মামলাটি আদালতে আছে তাই সে অনুসারেই সমাধানে কাজ করছি।
আরএম/