শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


করোনা ইস্যুতে বন্ধ সব মাদরাসা: ছুটিতে কী করবে শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
বিশেষ প্রতিবেদক>

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সকল স্কুল-কলেজ, ইউনিভার্সিটিসহ সকল প্রকার বিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন।

আল হাইয়াতুল উলিয়া, বেফাকসহ সকল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন দেশের সকল কওমি মাদরাসা বন্ধ। কভিড-১৯ যেন ছড়াতে না পারে সে লক্ষ্যেই অসময়ে ছুটির ঘোষণা। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সব মাদরাসা। তবে পরীক্ষা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আবারো বৈঠকে বসবে হাইয়াতুল উলইয়া। ২১ মার্চ  এ বৈঠক হবে।

এই বন্ধকে কোন প্রকার সুযোগ মনে না করে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া শিক্ষা সচিব মুফতি আশরাফুজ্জামান।

তিনি বলেন, এ বন্ধের মধ্যে ছাত্রদের সর্বপ্রথম কাজ হবে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করা। কোনভাবেই কালক্ষেপণের মন-মানসিকতা যেন ছাত্রদের মাঝে না আসে। পরীক্ষার প্রস্তুতিকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিতে হবে।

এছাড়া মানুষের মাঝে এ ভাইরাস সম্পর্কে শরীয়তের ব্যাখ্যা তুলে ধরা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বার্তা পৌঁছে দেয়াও তাদের দায়িত্ব।

মানুষের দুয়ারে এই মেসেজটিও পৌঁছে দিতে হবে যে, ভাইরাস সংক্রমণ এটা আল্লাহর হুকুমই হয়। আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে না। এ পরিস্থিতিতে আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ ভরসা করতে।

ছাত্ররা তার আশপাশের মানুষদেরকে মহামারী সম্পর্কিত হাদীসে বর্ণিত দোয়াগুলো শিক্ষা দিবে। যেমন, اللهم اني اعوذ بك من البرص والجنون والجزاء ومن سيء الاسقام এ যাবতীয় দোয়াগুলো মানুষদের শিক্ষা দেওয়া। এছাড়া বেশি বেশি ইসতেগফারের পরামর্শ দিবে। এবং নিজেরাও বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়বে।

তবে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয় হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা। যেহেতু মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে সুতরাং ইচ্ছা না থাকলেও দিনে তাদেরকে ৫ বার হাত ধুতে হয়। এর মাধ্যমে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার একটি ধাপ অতিক্রম হয়। এর পাশাপাশি সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরী। তবে সতর্ক তা যেন আতঙ্কে পরিণত না হয় এই বিষয়টিও লক্ষ রাখতে হবে।

স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন বিদ্যালয়গুলোর ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। কারণ এ ভাইরাসে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের মৃত্যুর হার বেশি।

সাভার উপজেলার সাবেক স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাক্তার আমজাদুল হক পরামর্শ দিচ্ছেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আমাদেরকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। এবং কোনক্রমেই নাকে মুখে চোখে হাত দ্বারা স্পর্শ করা যাবে না। ঘনঘন হ্যান্ড ওয়াশ বা হেক্সিসল দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

মনে রাখতে হবে কোভিড-১৯ এর কোন ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। সুতরাং এটাকে মোকাবেলা করা যাবে না। সর্তকতা অবলম্বন করে এর থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব।

মাদ্রাসার ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। কারণ কোনভাবে যদি এরা কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হয় তখন বিষয়টি আতঙ্কের হয়ে দাঁড়াবে। এ ভাইরাসে শিশু ও বৃদ্ধদের মৃত্যুর হার বেশি‌।

আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়ানো ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্বারোপ করার আহ্বান জানান এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

এটি/আবদুল্লাহ তামিম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ