আওয়ার ইসলাম: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে শিক্ষা সফরের গাড়ী বহরে কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলা এবং এক মাদরাসা ছাত্রীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার গঠনায় ২৪ ঘন্টা পরও কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। আতঙ্ক বিরাজ করছে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে।
জানা যায়, মধ্য সাগরদী খাদিজাতুল কোবরা রা. দাখিল মাদরাসার বার্ষিক শিক্ষা সফরের গাড়ী বহরে সোমবার দিনভর দুদফায় এ হামলা করা হয়। স্থানীয় কিশোর গ্যাং শান্ত ও বিষু বাহিনীর ১০/১২ জন সদস্য রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এ হামলা চালায় বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।
গাড়ির ড্রাইভাররা তাদের সিগন্যাল না মানায় এক ড্রাইভারকে মারধরও করে। বিষু, শান্ত ও মোহাম্মদ উল্যার নেতৃত্বে বখাটে গ্রুপটি রায়পুর-কাপিলাতলী সড়কের জ্বিনের মসজদিদের সম্মুখে এসে গাড়ির পথরোধ করে হামলার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল এসে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে মাদরাসায় পৌঁছে দেয়।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পুনরায় বিষু-শান্তর নেতৃত্বে ২০-৩০ জনের একটি বখাটে গ্রুপ মাদরাসা এলাকায় গিয়ে রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গাড়ির ড্রাইভারদের উপর হামলার চেষ্টা চালায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিশোর গ্যাং গ্রুপটির নেতৃত্ব স্থানীয় হলো একই এলাকার মানিক সাহার বাড়ির মো. হারুনের ছেলে মো. ফাহাদ (২০), রাব্বি (২৫); তোরাপের বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ উল্যাহ (২৪), জাকিরের ছেলে শান্ত (২৫), ফাহিম (২০); ফকির বাড়ির মো. দেলোয়ারের ছেলে সবুজ (২২), তোরাপের বাড়ির বিশু ওরফে হ্রদয় (২২) এবং সোনাপুর ইউনিয়নের বাসাবাড়ি চকিদার বাড়ির মো. লিটনের ছেলে ফাহিম (২২)। এ গ্রুপের মূল নেতৃত্বে বিষু ও শান্ত থাকলেও তাদেরকে আবার নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় ‘র’ আদ্যক্ষরের ক্ষমতাসীন দলের নেতা। যাকে আবার শেল্টার দেন জেলার এক বড় নেতা। রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোতা মিয়া বলেন, তাদের একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করার চেষ্টা চলছে।
-এটি