আওয়ার ইসলাম: দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে চট্টগ্রাম জেলা।
আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ‘হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী মিয়া।
তিনি বলেন, দুটি স্থলবন্দর, একটি বিমানবন্দর ও একটি সমুদ্র বন্দর থাকায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি করোনা ঝুঁকিতে আছে চট্টগ্রাম জেলা। এই বন্দরগুলো দিয়ে করোনা রোগীরা দেশে ফিরছেন। যদি তাদের ঠেকানো না যায় তাহলে করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে শাহ আমানত বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে। তারপরও একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ দেখা দিতে ২ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। তাই স্ক্রিনিং করার পরও অনেক সংক্রমিত ব্যক্তি বেরিয়ে যেতে পারে।
এসব কারণে বিমানবন্দর থেকে প্রতি মুহূর্তে আপডেট তথ্য নেয়া এবং প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া কারো শরীরে তাপমাত্রা বেশি থাকলে তাকে মুহূর্তের মধ্যেই হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যোগ করেন ফজলে রাব্বী মিয়া।
তিনি বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইন তদারকিতে জেলা প্রশাসক, স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী টিম কাজ করছে। প্রত্যেক প্রবাসীকে নিজ বাড়িতে ১৪ দিনের জন্য আলাদা করে রাখা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন বলেন, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ২১ জন নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। আর কেউ যদি কোয়ারেন্টাইনে থাকতে না চায় তাহলে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
-এটি