আওয়ার ইসলাম: জামিয়া রাহমানিয়ার শাইখুল হাদিস, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, সাহাবায়ে কেরামের সহায়তা ছাড়া পরিপূর্ণভাবে দীন বুঝা সম্ভব নয়। কিছু মানুষ সরাসরি কুরআন, হাদিস বুঝতে চান, তারা সাহাবায়ে কেরামের সূত্র নিতে চান না এটা স্পষ্টত ভ্রান্তি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি দামি বস্তুর সঙ্গে একটা ক্যাটালগ থাকে। যাতে বস্তুটির ব্যবহার সহজ হয়। কুরআন, হাদিস বুঝতে সাহাবায়ে কেরাম হলেন ক্যাটালগ বা নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকা ছাড়া পূর্ণাঙ্গরুপে কুরআন, হাদিস বোঝা অসম্ভব।
আজ শনিবার দক্ষিণবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা জামিআ ইসলামিয়া মারকাযুল উলুম খুলনার বাৎসরিক মাহফিল মাওলানা মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম, বিশিষ্ট আলেমে দীন আল্লামা মুফতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে এ বছর মাদরাসা থেকে হিফজ, তাকমিল ও ইফতা সমাপনকারী শিক্ষার্থীদের পাগড়ি প্রদান করা হয়।
মারকাযুল উলুম খুলনার নায়েবে মুহতামিম ও জামিআ ইসলামিয়া দারুল উলুম ঢাকার মুহতামিম মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়ার পরিচালনায় মাহফিলে বিশেষ বক্তা হিসেবে বয়ান পেশ করেন দারুল হাবীব মাদরাসা মিরপুর ঢাকার মুহাদ্দিস মুফতি আবদুর রব ফরিদী।
তিনি বলেন, আজ মুসলিমদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। যে ভারত গড়ে দিলেন উলামায়ে কেরাম ও মুসলিমরা; সেখানে তাদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। দুই দিনের জন্য ক্ষমতায় এসে নরেন্দ্র মোদি মুসলিমদের তাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে। মুসলিমদের তাড়ানো হলে আমরা বসে থাকবো না।
অনুষ্ঠানে মুফতি গোলামুর রহমান ও মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় অনেক উলামায়ে কেরাম বয়ান করেন।
উল্লেখ্য, জামিআ ইসলামিয়া মারকাযুল উলুম খুলনার এক ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা। প্রতিবছর ইলমি এ বিদ্যাপীঠ থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী ইলম অর্জন করে সারা দেশে দীনের খেদমতে ছড়িয়ে যাচ্ছে। প্রতিবছর মাদরাসার বাৎসরিক মাহফিলে এ অঞ্চলের হাজারও মানুষ অংশ নেন। আল্লামা মামুনল হকের আগমন উপলক্ষে এবারও লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে মাদরাসা প্রাঙ্গন।
-এএ