আওয়ার ইসলাম: দিনাজপুরে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ও পাঁচ শয্যার একটি আইসোলেশন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়াও করোনা সন্দেহে চীন ফেরত এক শিক্ষার্থীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে জেলা পর্যবেক্ষণ টিম।
বুধবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই শিক্ষার্থী গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চীনের জেজিয়াং প্রদেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
সন্দেহভাজন ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৩ দিন আগে সুস্থ অবস্থায় চীন থেকে দিনাজপুরে আসেন ওই শিক্ষার্থী। গত তিনদিন আগে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হন তিনি। এর একদিন পর তার বাবাও জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হন। তবে ওই শিক্ষার্থী এর আগেও অনেক বার জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
ডা. মুহা. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, জেলার যেসব শিক্ষার্থী কিছুদিনের মধ্যে চীন থেকে দেশে এসেছেন তাদের সবাইকে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছিলাম। এরমধ্যে শহরের উপশহর এলাকায় একজনের অসুস্থ হওয়ার খবর পাই। তিনি চীনের জেজিয়াং প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার রাতে সিভিল সার্জনের একটি মেডিকেল টিম ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি পরিদর্শন করে। তার শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলেও এখনো করোনা সম্পর্কিত কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। এরমধ্যে তার বাবার শরীরেও একই রকম উপসর্গ লক্ষ্য করা গেছে।
দিনাজপুর ডিসি মুহা. মাহমুদুল আলম জানান, এরমধ্যেই আমরা পুরো জেলায় একটি ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি। এর জন্য কাহারোল উপজেলায় নবনির্মিত একটি ২৫ শয্যা হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ শয্যার একটি আইসোলেশন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়াও পার্বতীপুর উপজেলার ল্যাম্ব হাসপাতালে ১০ শয্যা একটি আলাদা পরিচর্যা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস নিয়ে কেউ যেন আতঙ্কিত না হয় সেদিকেও সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
-এএ