আওয়ার ইসলাম: বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালের ছাদের পলেস্তারা ও ঢালাই খসে পড়ার ঘটনায় পাঁচ রোগী আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- উপজেলার বারপাইকা গ্রামের পরিমল বিশ্বাসের ছেলে প্রকাশ বিশ্বাস ও তার ভাই সজল বিশ্বাস, রাংতা গ্রামের সায়মন ইসলাম লিমন, জোবারপাড় গ্রামের শষ্ঠী চরণ বৈরাগীর ছেলে জীতেন্দ্র নাথ বৈরাগী, দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে মোফাচ্ছের হাওলাদার।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করেই হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার পুরুষ ওয়ার্ডের ছাদের কিছু অংশের পলেস্তারা ও ঢালাই খসে পড়ে। এতে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন পাঁচ রোগী আহত হন। এসময় অন্য রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত তা সেখান থেকে সরে পড়েন। তবে রোগী সরে যেতে না পারায় আহত হন।
উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেন, স্বাধীনতার পরেই ১৯৭২ সালে উপজেলার গৈলা এলাকায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করে সরকার। ২০০৪ সালে ৩১ শয্যার ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ৪৮ বছর আগে নির্মিত হাসপাতালের মূল ভবন অনেক আগেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিস্তর সংবাদও প্রকাশিত হয়। ওই সব সংবাদের কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কর্মকর্তা হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিলেও আজও তা নির্মিত হয়নি। জীর্ণ ও পুরোনো ভবনেই চলছে রোগীদের চিকিৎসা সেবা। একইসঙ্গে চিকিৎসকদের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবনগুলো অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ওই পরিত্যক্ত ভবনেই বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
-এএ