মাহদী হাসানাত খান
অতিথি লেখক
আমরা হুজুগে বাঙালি না-হই; ‘করোনা’ নিয়ে হুজুগে কিছু না-করে, আসুন, হুঁশিয়ারি হই। মার্কিন বিশেষজ্ঞ এলি পেরেনসেভিচ বলেন, ‘যাঁরা গড়পড়তা সুস্থ আছেন তাঁদের মাস্কের দরকার নেই; মাস্ক পরা উচিতও নয়।
সুস্থ মানুষ মাস্ক পরার পর করোনা থেকে রক্ষা পাবেন; এমন কোনো প্রমাণ নেই। তারা এই মাস্ক ভুলভাবে পরছেন। আর এতে করে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেশি বাড়ছে। কারণ তারা মাস্ক পরার পর বারবার মুখ স্পর্শ করছেন। শুধুমাত্র অসুস্থ হলেই মাস্ক পরুন, অন্যথায় নয়।’
মসজিদে দেখলাম, অস্বস্তি নিয়ে মাস্ক পরে নামাজ পড়ছেন অনেকে। অযথা পেরেশানি না-হয়ে তওবা-ইসতেগফারে মশগুল হওয়াটাই হবে অত্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ। কেননা ‘করোনা ভাইরাস’ হচ্ছে মহান আল্লাহর অসন্তুষ্টির নিদর্শন।
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দেওয়া যেতে পারে। সে হিসেবে সওয়াবের আশায় অজু করা যেতে পারে বারবার।
হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি অজু থাকা সত্ত্বেও আবার অজুু করে, তার জন্য ১০টি নেকি লেখা হয়’ [তিরমিজি, মেশকাত পৃ. ৩৮,৩৯]। অন্যত্র এসেছে, ‘একমাত্র মুমিন ব্যক্তিই সর্বদা অজুু অবস্থায় থাকে’ [আহমাদ, ইবনে মাজাহ]।
আরেকটা বিষয়, অসাধু ব্যবসায়ীদের কিন্তু সুযোগ দেওয়া যাবে না। তারা অতি লোভে সংকট সৃষ্টিতে ব্যস্ত। কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করছেন মাস্কসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র। তারা ভুলে গেছেন শাস্তির কথা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কেউ যদি খাদ্য-পণ্য গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, মহান আল্লাহ তাকে দুরারোগ্য ব্যাধি ও দারিদ্র্য দ্বারা শাস্তি দেন’ [ইবনে মাজাহ : ২২৩৮]।
মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, সহায় হোন, আমিন।
আরএম/