শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

নীলফামারীতে মসজিদ কমিটির সঙ্গে দ্বন্দের জেরে সংবাদ সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নীলফামারীর ডোমারে চার মুসলিম পরিবারের সদস্যদের মসজিদে নামাজ পড়তে বাধা ও মসজিদ কমিটি কর্তৃক তাদেরকে একঘরে করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

রোববার বেলা ১১টার দিকে ডোমার প্রেস ক্লাব হলরুমে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম চিকনমাটি নাওয়াপাড়া গ্রামের মানিক ইসলাম বাবু ও তাদের পরিবারবর্গ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাওয়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মো. মানিক ইসলাম বাবু জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম চিকনমাটি নাওয়াপাড়া বাইতুর রহমত জামে মসজিদটির বয়স প্রায় ১২০ বছর। এই মসজিদে এক সময় আমার দাদার বাবা মাওলানা নীল মামুদ মোতায়াল্লি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। আমার বাবা মৃত আবদুল মজিদও উক্ত মসজিদের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল। গত তিন বছর পূর্বে মসজিদের নতুন কমিটি দায়িত্ব নেয়। এর পর থেকে ওই কমিটির সম্পাদক মো. শাহিন ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ ইউসুফ আলীর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক বিরোধ থাকায় সেই প্রতিহিংসার জেরে মসজিদের জামাত থেকে আমাদের একঘরে করে রাখার পাশাপাশি মসজিদে আমাদের পরিবারের কাউকে নামাজ পড়তে দেন না।

এমনকি আমাদের পরিবারে মিলাদ এবং ধর্মীয় উৎসবে কোনো মাওলানাকে বাসায় আসতে দেন না। আমার বাবা ও দাদার মৃত্যুবার্ষিকীতে মসজিদের মাওলানাসহ কমিটিকে দাওয়াত করলেও তারা মাওলানাকে আমাদের বাসায় আসতে বাধা দেন ফলে বাসায় মিলাদ পড়ানো সম্ভব হয়নি।

তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এই সময়ে আমাদের পরিবারে কেউ মারা গেলে তাকে কি দাফন করানো যাবে না। আমাদের একঘরে করায় এলাকার কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলে না তাদের ভয়ে। আমাদের পরিবারের ২৮ জন সদস্য এ সব কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার ভাই রাকিব ও চাচা মশিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বায়তুর রহমত জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক শাহিন ইসলাম মোবাইলে জানান, মসজিদের জমি দখল করে বাড়ি তুলে রয়েছে তারা, এটা উদ্ধারে মামলা রয়েছে। তারা প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করছেন। ইমাম ও মোয়াজিন যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। খারাপ ব্যবহার করার কারণে সবাই তাদের এড়িয়ে চলে। মসজিদ নির্মাণে তারা বাধা সৃষ্টি করছে।

মসজিদের সভাপতি ইউপি সদস্য মো. রবিউল ইসলাম বলেন, মসজিদ কমিটি ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সঙ্গে একাধিকবার আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় আমি কয়েকদিন আগে মসজিদের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ