বেলায়েত হুসাইন: মানুষ তার ব্যক্তিজীবনের একটি পর্যায়ে গিয়ে অনুভব করেন পৃথিবীর আলো বাতাসের সঙ্গে তার আর সখ্যতা করার মতো বেশি সময় হাতে নেই। জীবন সায়াহ্নে তিনি ভাবেন, শেষ দিনগুলিতে ভাল কিছু স্মরণীয় কাজ করে যেতে পারলে একটু হলেও তৃপ্তি হতো এবং সেই কাজ ও কীর্তিকে আখেরাতের অনন্ত জীবনে মহান প্রভুর নিকট মুক্তি ও নাজাতের মাধ্যম হিসেবে উপস্থাপন করা যেতো।
মিসরের ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নারীর স্বপ্ন এমনই; সুয়াদ আব্দুল কাদের নামের ওই নারী নিজ হাতে পবিত্র কুরআন লিখে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন। কারো সাহায্য ছাড়াই চার বছরের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি এই অমর কীর্তি গড়তে সক্ষম হন।
[caption id="attachment_175956" align="aligncenter" width="300"] বই কিনতে ক্লিক করুন[/caption]
মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে বসবাসকারী বৃদ্ধা সুয়াদ আব্দুল কাদেরের নাতি মুহাম্মাদ ওসামা জানান, তার দাদি কুরআন লিখতে অন্তত চার বছর সময় নিয়েছেন। যখন তার বয়স ৭১ বছর, তখন তিনি নিজ হাতে কুরআন লিখতে শুরু করেন। দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি কুরআন লেখায় ছয় থেকে আট ঘন্টা নিরলস ভাবে পরিশ্রম করতেন।
ওসামা আরেকটি আশ্চর্যজনক বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করেন, 'আমার দাদি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোন লেখাপড়া জানতেন না। তার হাতে পবিত্র কুরআন লিপিবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই অনেক বিস্ময়ের ছিল। এটা আল্লাহর বিশেষ মু'জিঝা বলা যায়'।
জীবনের পড়ন্ত বয়সে আখেরাতে ভাল কিছু পাওয়ার আশায় সুয়াদ আব্দুল কাদেরের এই কর্মোদ্যম বিশেষত তরুণদের মাঝে ব্যপক প্রভাব সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মিসরীয় এই বৃদ্ধাকে শ্রেষ্ঠ 'অনুপ্রেরণাদায়ী' নারীর মর্যাদা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: আল ইয়াওমুস সাবি'ই
-এএ