রফিকুল ইসলাম জসিম: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, সহিংসতা ও মসজিদ ভাংচুরের প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার পর পুলিশের নিরাপত্তায় বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শ্রীমঙ্গলের সর্বস্তরের তাওহিদি জনতা।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের সামনে থেকে সম্মিলিত তাওহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে চৌমুহনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শ্রীমঙ্গল চৌমুহনায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসে মিলিত হয়।
সমাবেশে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার প্যানেল মেয়র মীর এম এ সালাম বলেন- ভারতের মুসলমানদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনে লংমার্চে যাবো। মুসলমানদের ওপর বর্বর নির্যাতন মুসলমানরা আর সহ্য করবে না।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব বলেন- ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় সবসময় সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক নির্যাতিত নিপীড়িনের ঘটনা নতুন নয়। দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের মুসলমানরা অমুসলিমদের দ্বারা নির্যাতিত। ভারতের হিন্দুরা মুসলমানদের সহ্য করতে পারে না। তারা বাবরি মসজিদ ধ্বংস সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বারবার ভাংচুর করে। সম্প্রতি বিভিন্ন মনজিদ তারা আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে। আজাদি আন্দোলনে আলেম ওলামারা জান-মাল বিসর্জন করে নজির সৃষ্টি করেছিলেন। ইংরেজ সরকার আলেমদেরকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছিল। কাজেই আলেমরা এবং ইসলামপ্রেমিক মুসলিমরা ইসলামের জন্য জান দিতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন দেশ এবং ইসলাম প্রেমিক মুসলমান ছিলেন। কাজেই মুসলমানদের দুশমন মোদি বাংলাদেশে আসলে বাংলাদেশের অপমান হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কালিঘাট রোডস্থ বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল মালিক বলেন, ভারতের নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আসলে সেটা হবে দেশের চরম লজ্জার। মোদীর মতো নির্লজ্জ এবং ইসলামের দুশমনকে দেশে আনলে ধর্মপ্রেমিক মুসলমানরা আর ঘরে বসে থাকবে না। সবকিছু বিসর্জন দিয়ে শত্রুকে প্রতিহত করবে। কাজেই ধর্মপ্রাণ জনগণের হৃদয়ের দাবি ক্ষমতাসীন সরকার না বুঝলে, কঠিন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব এবং আলেমরা বক্তব্য প্রদান করেন। সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে শ্রীমঙ্গল শহর এবং শহরতলীর প্রায় ১৫টি মসজিদের সহস্রাধিক মুসল্লিরা অংশ নেন।
সমাবেশ ও মিছিলে নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ বাতিলের দাবি স্লোগান ও মোদিবিরোধী প্ল্যাকার্ড বহন করেন বিক্ষোভকারীরা।
-এএ