মুহাম্মদ ইকরামুল হক
চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা প্রতিনিধি
দক্ষিণ চট্টলার ঐতিয্যবাহী সেবামুলক দীনি সংগঠন চট্টগ্রাম নবদূত ঐক্য পরিষদের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ (৬ মার্চ) শুক্রবার সকাল ৮ টায় কর্ণফুলী থানাধীন বাতামতলস্থ সাংস্কৃতিক ফোরাম বাংলার মাটির সভা মিলনায়তনে নবদূতের জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নবদূত সভাপতি মুহাম্মদ এফ.এস.ডি ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা বোরহান উদ্দীন।
সভায় বক্তারা বলেন, সমাজের সর্বস্থরের ধর্মীয় জ্ঞাণচর্চার কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে বৈষম্য ও প্রতিহিংসা দূর হবে বলে আশা করা যায়। সামাজিক শক্তি অর্জন সামাজিক সংগঠনের গুরুত্ব অতুলনীয়, সামাজিক সংগঠনের মধ্যদিয়ে অনৈতিকতা নির্ভর সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তন করে ধর্মীয় নৈতিকতা নিশ্চিত করতে হবে।
সাংস্কৃতিক ফোরাম বাংলার মাটির কার্যালয় ও স্বপ্নরাশি ষ্টুডিও পরিদর্শনকালে নবদূত সভাপতি বলেছেন, পশ্চিমা সংস্কৃতি যুব-কিশোর সমাজকে হ্রাস করে অপসংস্কৃতি নিত্যদিনের সঙ্গী করে নিচ্ছেন বহুদিন আগ থেকে। অপসংস্কৃতি দূর করার লক্ষ্যে ধর্মীয় সুস্থ সংস্কৃতির বিকল্প নেই। সুস্থ সংস্কৃতির অভাবে মুসলমানের সন্তানরাও দিন দিন গান বাজনা ও বাধ্যযন্ত্রের কাছে নিজেকে বিলীন করে দিতে দ্বীধাবোধ করছেনা। নবদূত পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলার মাটির কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বান দেন তিনি।
এদিকে নবদূত ঐক্য পরিষদের বর্তমান কমিটি মেয়ার পূর্ণ হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো বেগবান করার লক্ষে ৭ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন নবদূত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফুল করিম।
আহ্বায়ক কমিটিতে মাওলানা বোরহান নোমানীকে আহ্বায়ক, মাওলানা মোজাম্মেল হক চৌধুরী সদস্য সচিব, মাওলানা ফিরোজ উদ্দীন নছিম, মাওলানা কায়সার হামিদ, মাওলানা জিয়া উদ্দীন আল আজাদ, মুহাম্মদ এহাছান উল্লাহ ও মুহাম্মদ নুরুল আজিম সদস্য পদে নির্বাচিত করা হয়।
মাওলানা সাইফুল করিমের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা ফিরোজ উদ্দীন নছীম, সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কায়সার হামিদ, অর্থ সম্পাদক মুফতি জুনাইদুল হক, বাংলারমাটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা জিয়া উদ্দীন আল আজাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ এহাছান উল্লাহ, মুহাম্মদ ফরহাদ হোসাইন, মুহাম্মদ নুরুল আজিজ, মুহাম্মদ ওমর ফারুক, মুহাম্মদ মাসহুদুর রহমান ও মুহাম্মদ নুরুল আমিন প্রমুখ।
আরএম/