শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

শায়েখ আবদুল হাফিজ মক্কী রহ এর দরবারে একদিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি মামুন আব্দুল্লাহ কাসেমি।।
মক্কা মুকাররমা থেকে>

রোববার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ বিকেলে শায়খ আব্দুল হাফীজ মাক্কী রহ. এর খানকায় যাওয়ার কথা চিন্তা করলাম। রাস্তা চিনিনা। দারুল উলূম ঢাকা এর মুহতারাম মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস মুফতী রেউল হক মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহকে ফোন করলে তিনি বিস্তারিত ঠিকানা দেন।হারামে মাক্কী হতে তিন রিয়াল ভাড়ায় সাব্তকো এর পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বাসযোগে তরিক আল-হিজরার পথে ৬০ ফিট রোডে হান্দাউইয়া মহল্লার মসজিদে মালিক মানসুর সংলগ্ন পাকিস্তানি ছাত্রাবাস নামে প্রসিদ্ধ শায়খ আব্দুল হাফীজ মাক্কী রহ. এর খানকা,মাদরাসা এবং বাসভবন।

শায়খ মাক্কীর ইন্তেকালের পরে এখন তার জানসীন খলীফা হলেন ছেলে উমর বিন আব্দুল হাফীজ মাক্কী এবং ছোট ভাই আব্দুস সামাদ বিন আব্দুল হক মাক্কী।উভয়ের কারো সাথেই সাক্ষাৎ হলোনা।শায়খ আব্দুস সামাদ মাক্কী আছেন বাংলাদেশ সফরে আর উমর মাক্কী আছেন পাকিস্তান সফরে। তবে মাদরাসার শিক্ষক এবং তাহকীকি বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মাওলানা কামালুদ্দীন ইসলামাবাদী বড় দরজদিলে ইস্তেকবাল করেন। বর্তমানে মাওলানা ইউসুফ বিন ইলইয়াস কান্ধলভী রহ. এর হাদীস বিষয়ক অমর অসাধারণ কর্ম ত্বহাবী শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ امانی الاحبار এর তাহকীক, তাখরীজ এবং নতুন আঙ্গিকে কম্পোজের কাজ করে যাচ্ছেন।

মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত পূরো সময় জুড়ে আলোচনার একমাত্র বিষয় ছিলো শায়খ আব্দুল হাফীজ মাক্কী রহ. এর জীবনের বিভিন্নদিক। মুসলিম বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব, মুসলিম উম্মাহর অন্যতম আধ্যাত্মিক রাহবার, বিশ্বব্যাপী খতমে নবুওয়ত কার্যক্রমের অগ্রগামী সিপাহসালার, শাইখুল হাদিস যাকারিয়া রহ.-এর প্রিয়তম শিষ্য ও অন্যতম খলীফা শাইখুল আরব ওয়াল আজম শায়েখ আবদুল হাফিজ মাক্কী রহ. জন্ম নিয়েছিলেন ঐতিহ্যবাহী একটি রাজপরিবারে, কিন্তু রাজত্বের সিংহাসন ছেড়ে বেছে নিয়েছিলেন ফকিরানা ও গরিবানা জিন্দেগী। আল্লাহ তা'আলা তার অন্তরে গেঁথে দিয়েছিলেন দাওয়াত ও তাবলীগ, খতমে নবুওয়ত ও সুলুক-আত্মশুদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ ও দ্বীনের মৌলিক কাজগুলোর আকর্ষন। ছুটে চলেছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। কি এশিয়া, কি আমরিকা, কি ইউরোপ, কি আফ্রিকা, কোথাও কি বাদ আছে যেখানে তাঁর কদম পড়েনি? যেখানে নেই তাঁর ভক্ত অনুরক্ত, যেখানে তাঁরই প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় জারি হয়নি বহু দীনি প্রতিষ্ঠান ও কার্যক্রম।

আগেই বলেছি,হযরতের জন্ম হয়েছিল একটি রাজ পরিবারে। হযরতের ঊর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ ছিলেন রাজা আবদুস সালাম মালিক। কাশ্মিরের অন্তর্গত ইসলামাবাদের পার্শ্ববর্তী একটি এলাকার তিনি অধিপতি ছিলেন। হযরতের বাবা ছিলেন স্বনামধন্য ধনাঢ্য একজন ব্যবসায়ী। সৌদি আরবের প্রসিদ্ধ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন তিনি। কিন্তু আল্লাহ তা'আলার ফায়সালায় রাজ-রাজত্ব ও অর্থ-বৈভবে বিত্তবান হওয়ার পথ ছেড়ে ধর্মীয় জীবনের দিকে ধাবিত হয়েছিলেন।

১৯৪৬ ঈসায়ীতে অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাবস্থ অমৃতসরে এক কাশ্মিরী রাজ বংশে জন্ম গ্রহন করেন শায়খ আবদুল হাফিজ মাক্কী রহ.। ১৯৫৩ ঈসায়ীতে হযরতের বাবা স্বপরিবারে মক্কা মুকাররমায় হিজরত করেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তাঁর প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পুরো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা-দীক্ষা হেজাজের পবিত্র ভূমিতেই সম্পন্ন হয়েছিল। উচ্চ মাধ্যমিকে তার ফলাফল এত ভাল হয়েছিল যে, সৌদী সরকার সরকারী খরচে তাকে ইউরোপ, আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষার জন্য গমন করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল, কিন্তু আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের চাপ ও অসন্তুষ্টি সত্ত্বেও হযরতের বাবা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আবদুল হাফিজকে আমরিকা, ইউরোপ পড়াশোনার জন্য পাঠানো হবে না, তকে হিন্দুস্থান পাঠানো হবে উলামায়ে কেরামের জুতা সোজা করার জন্য।

ধনাঢ্য পরিবারের অসাধারন সম্ভাবনাময় শায়খ আব্দুল হাফীজ মাক্কী রহ. সাফল্যের সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ইউরোপ আমেরিকায় নয়, ছুটে যান হিন্দুস্তানের সাহারানপুরে। সেখানে হযরত ইউসুফ কান্ধলভী রহ.-এর সুহবতে থাকেন কিছুদিন। তারপর হযরতের ইন্তিকালের পর হযরতজী ইনামুল হাসান রহ.-এর সুহবত গ্রহণ করেন। একচিল্লা, দুইচিল্লা করে করে এক সাল শেষ করেন। বাবাকে চিঠি লিখেন, বাবা! পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ইউরোপ আমেরিকায় যাওয়ার ইচ্ছে নেই। যদি দ্বীনের কাজের জন্য যাওয়ার সুযোগ হয়, তাহলে আল্লাহর অনুগ্রহ। এখন আমার পরবর্তী কর্মসূচি কী? বাবা জবাব দেন, সাহারানপুরের আসাতিযায়ে কেরাম এবং নিজামুদ্দিনের মাশায়েখদের থেকেই তোমার পরবর্তী কর্মসূচী ঠিক করে নাও।

অবশ্য হযরত যাকারিয়া রহ.-এর খেলাফত দেওয়ার পরই হযরতকে তিন চিল্লার জন্য আমরিকা পাঠিয়েছিলেন। তখন আমেরিকার বিভিন্ন রাষ্ট্র সানফ্যান্সিসকো, থ্যাইল্যন্ড, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে তাবলিগি সফর করেছেন।

এভাবে আল্লাহ তায়ালা হযরতকে তাবলীগ জামাতের সর্বব্যাপী দ্বীনি কাজের চলমান বাহনে উঠিয়ে দেন। দেশ থেকে দেশান্তরে ছুটে যান দাওয়াতের মেহনত নিয়ে। মক্কা মুকাররমায় তাবলীগি জামাতের জিম্মাদারও ছিলেন তিনি। হযরত প্রায় প্রতি বছরই আসতেন টঙ্গির বিশ্ব ইজতিমায়। হযরতের বাবা মালিক আবদুল হক ছিলেন আপাদমস্তক ধর্মানুরাগী, আলেম প্রিয়। হযরত শায়খুল হাদীস যাকারিয়া রহ. এর সঙ্গে ছিল তার গভীর সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতা। জীবন দিয়ে খেদমত করেছেন তিনি হযরত শাইখুল হাদীসের। হযরত তাঁর আববীতিতে লিখেছেন সেইসব খেদমতের নজীর বিহীন চিত্র।

বাবার এই রক্ত ছেলের ধমনিতেও সঞ্চারিত হয়েছিল। মক্কা মুকাররমায় হযরত যখনই যেতেন আবদুল হাফিজ মক্কীও বাবার মতো জান-প্রাণ দিয়ে খেদমত করতেন। অতঃপর হিন্দুস্থানে এসে হযরতের খেদমতেই নিয়োজিত হন।

১৩৮৭ হিজরীর রমজানে ইতিকাফে থাকাকালে এক রাতে হযরত ডেকে নিয়ে তাকে ইজাজতের আমামা পরিয়ে দেন। তারপর থেকে জীবনের সবগুলো রমযানই হযরতের সাথে কাটিয়েছেন। হযরত কাছে বসিয়ে বসিয়ে মুরাকাবা ও তাসবিহের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। শেষ কয়েক বছর পুরো সময়ই শায়েখের খেদমত ও সুহবতে কাটিয়ে ছিলেন। হযরত শায়েখের ওফাতের পর মক্কা মুকাররমায় গিয়ে খানকাহি মামুলাত চালু করেন। হারামাইনের কাছে বসে হিজাজের মানুষের আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সাথে তায়াল্লুক কায়েমের পথ দেখান। সৌদি আরবে প্রচলিত তাসাউফ সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিও দূরীভূত করতে সচেষ্ট হন। সৌদি আরবেই সীমাবদ্ধ থাকেনি তাঁর জ্যোতির্ময়তা ও নূরানিয়্যাতের এ প্রবাহ। দেশে দেশে ছুটে চলেন তিনি। আফ্রিকা, আমেরিকা, জাম্বিয়া, গাম্বিয়া, পাকিস্তান, ভারতসহ অনেক দেশ উল্লেখযোগ্য।

হযরত মাক্কী রহ. তাঁর শায়েখের কাছে বায়আত হওয়ার পর সুহবতে থাকাকালে একসময় হযরতের কাছে আরজ করেন, হযরত! আমি ইলম অর্জন করার আগ্রহ হৃদয়ে অনুভব করছি। হযরত দারুণ খুশি হলেন এবং মাদরাসার আসাতেযায়ে কেরারমকে ডেকে কিতাবাদী পড়ার ব্যবস্থা করে দেন। পরের বছর রমজানের পর নিয়ম তান্ত্রিকভাবে সাহারানপুর মাজাহেরুল উলূম মাদরাসায় ভর্তি হন। হযরত শায়েখ যাকারিয়া রহ. এখানেই বুখারী শরীফের দরস দিতেন। এ বছরই ছিল হযরতের বুখারীর সর্বশেষ দরস।

হযরত মাক্কী রহ. প্রিয়তম মুরশিদ ও মনিবতুল্য শায়েখের কাছে বুখারীর সবক নেন। বছর শেষে চূড়ান্ত পরীক্ষায় দাওরা হাদীসের সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করেন। হযরত শায়েখের অনুমতিক্রমে মক্কা মুকাররমায় মাদরাসা সাওলাতিয়ায় মেশকাত শরীফের দরস প্রদান করতে শুরু করেন। কিছুদিন অতিবাহিত হতে না হতেই শায়েখের কিতাব “اوجز المسالک” “بذل المجھود” ছাপানোর প্রয়োজনীয়তা সামনে আসে। শায়েখের অনুমতিক্রমে হযরত মক্কী চলে যান মিশরের কায়রোতে। কয়েক বছর সেখানে অবস্থান করে শায়েখের কিতাব ছপানোর কাজ সমাপ্ত করেন।

শায়েখের অনুমতি নিয়ে তাঁর লিখিত কিতাব “شریعت و طریقت کا تلازم” আরবীতে রূপান্তরিত করেন। রিয়াজুস সালেহীন কিতাবটিও শায়েখের কাছে দরস নিয়ে তার ব্যাখ্যাগ্রন্থ রচনা করার অনুমতি নেন। পরবর্তিতে রচনা করেন‘استجاب الدعاء بعد الفرائض’ এবং ‘مقام الامام ابی حنیفةالنعمان’ সহ আরও অনেক কিতাব। হাদীসের দরস দানের পাশাপাশি রচনা, সম্পাদনা, এবং হাদীসের নতুন নতুন কিতাব প্রকাশের ক্ষেত্রে এক বিস্ময়কর নজীর স্থাপন করেন। ‘শারহু মুশকিলিল আসার’-এর মতো দুর্লভ দুর্লভ হাদিসের গ্রন্থ পৃথিবীর আনাচ-কানাচ থেকে অনুসন্ধান করে বের করেন এবং ছাপিয়ে বিশ্বের আলেম সমাজের হাতে তুলে দেন। সর্বশেষ নিজ শায়েখের কিতাব ‘لامع الدراری’ এর সাথে ‘الابواب و التراجم’ এবং উর্দু তাকরীরাত একত্র করে আরবীতে ভাষান্তর করে আরও নানান উপকারী দিক সংযোজনসহ বুখারী শরীফের এক সর্বোৎকৃষ্ট ভাষ্যগ্রন্থ ‘الکنز المتواری’ নামে ছেপে প্রকাশ করেন।

হযরত মক্কী রহ. ছিলেন দ্বীনের বহুমুখী খেদমত আঞ্জাম দানকারী এক বিরল ব্যক্তিত্ব। তাসাউফ ও সুলুকের ময়দানে যেমন ছিলেন, আধ্যাত্মিকতা ও বিলায়েতের উঁচস্তরে সমাসীন বেতাজ বাদশা, তেমনি হাদিসের খেদমত ও ইলম চর্চায় ছিলেন এক আগ্রগামী সিপাহসালার। দাওয়াত ও তাবলীগের ময়দানেও তার জুড়ি ছিল না। জিহাদের ময়দানেও ছিলেন সালারে আজম। তাহরীকে খতমে নবুওয়াততো ছিলো তার অস্থি মজ্জায় প্রথিত আন্দোলন।

শায়খ মাক্কী সম্পর্কে শুনতে খুব ভালো লাগছিলো। এদিকে ইঞ্জিনিয়ার এস এম আবুল কাসেম সাহেবের ভাই জনাব হাবিবুর রহমান সাহেব এবং জনাব সিরাজুল ইসলাম সাহেব বারবার ফোন করে তাড়া করছিলেন। কারন-রাতে আমাদের কাফেলার বারো জনের একসাথে খাওয়া দাওয়া করার কথা আছে। আমি রোযা থাকি বিধায় আমার সুবিধামত রাতের সময় ঠিক করা হয়েছে। তাই শায়খ সম্পর্কিত আলোচনার তৃষ্ণা রেখেই বিদায় নিতে হলো মাক্কী খানকাহ হতে।

আসার সময় জনাব কামালুদ্দীন ইসলামাবাদী শায়েখের লিখিত বেশকিছু কিতাব এবং তার নিজের লিখিত কিছু কিতাব হাদিয়া দিলেন। امانی الاحبار সম্পর্কে কিছু পরামর্শ চাইলে কিছু পরামর্শও আরজ করলাম। শায়খ মাক্কী জীবিত থাকলে খুব দ্রুতই আমরা কিতাব হাতে পেতাম। কিতাবটি হাদীসের জগতের এক অমূল্য রত্ন। আল্লাহ তা'আলা কিতাবটির ইশা'আতের সহজ ইনতেজাম করে দিন। আমীন।

লেখক: পরিচালক, মারকাযুদ দিরাসাতিল ইসলামিয়া-ঢাকা। মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া-ঢাকা।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ