শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

যেভাবে ছোট্ট একটি শিশু ধীরে ধীরে ইসলামি সংস্কৃতি ভুলে যেতে থাকে!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা খালেদুজ্জামান।

আমার বড় মেয়েটার বয়স প্রায় পাঁচ বছর। বাসা সংলগ্ন এক ভদ্র মহিলার একটি সমবয়স্কা মেয়ের সঙ্গে ওর খুব সখ্যতা। একসঙ্গে বাল্যবন্ধু সূলভ খেলাধুলা, খাবার আদান-প্রদান, খুনসুটি, সবকিছুই করত। আর দুজনের চিন্তা-চেতনাও কাছাকাছিই ছিল। ওর বাবা-মাও মোটামুটি দ্বীনদার বলা যায়।

কিন্তু ইদানিং দুই বান্ধবীর মধ্যেই ক্রমান্বয়ে মতাদর্শগত দূরত্ব বেড়ে চলেছে। ওর বান্ধবী গত বছর প্লে শেষ করে সবেমাত্র নার্সারিতে পড়ে। বয়স সর্বোচ্চ ছয় কি সাড়ে ছয়। এই পুচকে বয়সেই আমার মেয়েকে বলে, আজ স্কুলে আমাদের সঙ্গীত অনুষ্ঠান হবে। নাচ গান হবে। কয়েকটি গানসহ নাচটাও মোটামুটি রপ্ত করে ফেলেছে।

মেয়েকে বলে, তোমার স্কুল নেই। তোমার মজাও হবে না। আবার আরেক সময় মেয়েকে স্কুলের পিটি করিয়ে দেখায়। গত পরশু শুনলাম, ওর নাকি বয়ফ্রেন্ডও হয়ে গেছে। (ইন্না-লিল্লাহ)। আলহামদুলিল্লাহ! ও যখন এসব কথা বলে আমার মেয়ে তখন বলে, স্কুলে পড়তে হয় না। স্কুলে গান হয়। গান শুনা হারাম। গান শুনলে দোযখে যেতে হয়। আমার আব্বু আমাকে পড়ায়। আমি স্কুলে পড়ব না।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, ওর বান্ধবী স্কুলে যাওয়ার আগে আমার মেয়ের চেয়ে একেবারে বুদ্ধিহীন আলাভোলা ছিল। অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির ছিল। আর সেই মেয়ে এক বছরের স্কুল জীবনে মাত্র ছয় বছর বয়সে নির্লজ্জের মত বয়ফ্রেন্ড বানিয়ে গর্ব করে। এই মেয়েটি একটি সম্ভবনাময় আদর্শ মা হওয়ার পরিবর্তে আজ সম্পূর্ণ পশ্চিমা লাজলজ্জাহীন নারী সংস্কৃতিতে প্রতিপালিত হচ্ছে।

আহ! এভাবে পিতামাতা সন্তানের জীবনের মোড় পরিবর্তন করে দেয়। কারো চাকচিক্য দুনিয়ার দিকে আর কারো আখেরাতের দিকে। চারিত্রিক এই চূড়ান্ত ধ্বস দেখে মেয়েকে একদিনের জন্য স্কুলের বারান্দায়ও না যেতে দেয়ার দৃঢ় সংকল্প করেছি।

আমি নিজের মত করেই ওকে পড়াব। মুফতী ফয়যুল্লাহ রহ. তার সবগুলো মেয়েকে নিজেই মেশকাত পর্যন্ত পড়িয়েছিলেন। চরিত্র যদি না থাকে তাহলে এত একাডেমিক ডিগ্রি দিয়ে কি হবে? আলহামদু লিল্লাহ!

একদিনেই ওর মায়ের কাছে স্বরবর্ণ, আরেকদিনে ব্যঞ্জনবর্ণ সব শিখে ফেলেছে। মাত্র একদিনেই ওর দাদা, দাদী, আব্বু, আম্মু সবার নাম লেখা শিখে ফেলেছে। বর্তমান যুগে মেয়েদের স্কুলে পড়ানো কতটা অনিরাপদ তা বিবেকবান সচেতন কোনো মুসলমানের কাছে অস্পষ্ট নয়। (আল্লাহ হেফাজত করুন-আমিন)

লেখক, মুহাদ্দিস-জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া, মোহাম্মদপুর, ঢাকা ও বিভাগীয় সম্পাদক মাসিক মদিনা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ