আওয়ার ইসলাম: আল্লামা নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারী কাদিয়ানীরা পঞ্চগড়ে পুনরায় তাদের তথাকথিত ইজতেমা অনুষ্ঠানের ষড়যন্ত্রে মেতেছে। তারা ইজতেমার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নেয়ারও পায়তারা করছে। একই স্থানে গত বছরও তারা ইজতেমা নামক ঈমান বিধ্বংসী ষড়যন্ত্রের দুঃসাহস দেখিয়েছিলো। কিন্তু পঞ্চগড়ের নবী প্রেমিক তাওহীদি জনতার তীব্র আন্দোলন ও তাজা রক্তের বিনিময়ে তা বাতিল করতে সরকার বাধ্য হয়।
তিনি বলেন, পঞ্চগড়ের মাটিতে কাদিয়ানীদের ইজতেমার অনুমতি দিলে সারা দেশে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। তাওহিদী জনতার এই আন্দোলনের দাবানল কোন অপশক্তি রুখতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে আমরা সারাদেশের তাওহিদী জনতাকে নিয়ে পুনরায় পঞ্চগড় অভিমুখে যাবো। কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষনার দাবিতে সারা দেশের তাওহীদি জনতা আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, সারা দেশের নবী প্রেমিক জনতার মুখে এখন একটিই দাবী "কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয় ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষনা করতে হবে, এবং তাদের যাবতীয় অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি সরকার মুসলমানদের এই ন্যায্য দাবীর ব্যাপারে রহস্যজনক ভাবে নিরবতা পালন করছে।
তিনি সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা করে মুসলমানদের দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। অন্যথায় আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের উদ্যোগে সারা দেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আরএম/