আওয়ার ইসলাম: রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত যৌনপল্লির সাবেক এক কর্মী মারা গেলে তার দাফন করা হয় ইসলামি নিয়ম অনুসরণ করে। হামিদা বেগম (৬৫) নামের ওই নারীর জানাজা পড়ান দৌলতদিয়া রেলস্টেশন মসজিদের ইমাম গোলাম মোস্তফা।
স্থানীয়ভাবে সমালোচনার মুখে পড়ে তিনি জানান, হামিদা বেগমের জানাজা পড়ানোর পর তিনি স্থানীয়ভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ভবিষ্যতে আর কখনো কোনো যৌনকর্মীর জানাজা পড়াবেন না।
যদিও যৌনকর্মীদের জানাজা বা দাফনের ব্যাপারে ধর্মীয় বিধিনিষেধ আছে কি না, তা জানাতে পারেননি দৌলতদিয়া রেলস্টেশন মসজিদের এই ইমাম।
গণমাধ্যমকে এই ইমাম বলেন, ‘এইখানে তো সমালোচনা হচ্ছে। গ্রামের লোক, দোকানদার সবাই আমার সমালোচনা করছে। এতদিন জানাজা হয় নাই, আমি কেন হঠাৎ করে জানাজা পড়াইলাম?’
ইমাম আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আর জানাজা পড়ানোর নিয়ত নাই। বিভিন্ন আলেমের সঙ্গেও কথা বলছি। তারাও নিষেধ করছে। পল্লীর লোকেরা অন্য কাউকে দিয়ে জানাজা, দাফন করাইতে পারে। কিন্তু আমাকে পাবে না।’
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার পল্লিতে সাবেক যৌনকর্মী হামিদা বেগমের জানাজা ও দাফন হয়। ইসলামি নিয়ম অনুসরণ করে হলেও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি ওই এলাকায়। যদিও স্থানীয় পুলিশ প্রধান আশিকুর রহমান বলেছেন, স্থানটিতে ইসলামি শরিয়া অনুসারে জানাজা ও দাফন অব্যাহত থাকবে।
আরএম/