আওয়ার ইসলাম: গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসের ভেতর এক গৃহবধূ (৩৫) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া পেয়ারাবাগান এলাকায় ঢাকা বাইপাস সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের দায়ে ওই বাসের চালকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলো- শেরপুরের নকলা থানার ধনাকুশ গ্রামের ওমর আলীর ছেলে বাসের চালক আমীর হোসেন (২৭), একই জেলা ও থানার ইশিবপুর এলাকার সুশীল চন্দ্র শীলের ছেলে বাসের কন্ডাক্টর অমিত শীল (২২) ও ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার ঠাকুরবাহাই এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে বাসের হেলপার মো. মোজাম্মেল (২৩)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নন্দলাল চৌধুরী জানান, গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই নারী টঙ্গী থেকে গাজীপুর সদর উপজেলার মেম্বার বাড়ি এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। তিনি রাতেই টঙ্গী যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্থানীয় মেম্বারবাড়ি বাসস্ট্যান্ড হতে ইছামতি পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। এক পর্যায়ে বাসটি গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় পৌঁছানোর পর বাসে থাকা যাত্রীদের নামিয়ে দেয় বাসচালক ও সহকারীরা।
তখন বাসে ওই নারী ও তার সঙ্গে থাকা আরও এক নারীসহ ৪ থেকে ৫ জন যাত্রী ছিলেন। চালক বাসটি নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা হতে ভোগড়া বাইপাস মোড় পৌঁছানোর পর দুই নারী ছাড়া বাস থেকে অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয় চালকের সহকারীরা। পরে ওই দুই নারী বাস থেকে নামার চেষ্টা করলেও চালকের সহযোগীরা তাদের ধাক্কা দিয়া বাসের ভেতরে ঢুকিয়ে দ্রুত গতিতে ভোগড়া পেয়ারা বাগানের দিকে চলে যায়।
পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে ভোগড়া এলাকার গরুকাটা ব্রিজের কাছে পৌঁছালে এক পর্যায়ে বাসের দরজা বন্ধ করে দেয় ধর্ষকরা। এ সময় দুই নারী ডাক-চিৎকারের চেষ্টা করলে ধর্ষকরা তাদেরকে হত্যার ভয় দেখিয়ে বাসের পেছনে নিয়ে বেঁধে রাখে। রাত ১২টার দিকে গ্রেফতাররা এক নারীকে (৩৫) বাসের দুই সিটের মাঝে গামছা দিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
বৃহস্পতিবার ভোরে ধর্ষকরা বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়। পরে দুই নারী ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাসটি জব্দ করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার এক নারী (৫০) বাসন থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দিনই মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করে। শনিবার তিন ধর্ষক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরএম/