শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় তিন ওয়াক্ত নামাজ বাধ্যতামূলক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় সব কর্মকর্তা, কর্মচারীর জন্য অফিস চলাকালীন প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সহিত তিন বেলা অর্থাৎ জোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বিগত ৯ ফেব্রুয়ারি জারি করা এক নোটিশে কারখানা কর্তৃপক্ষ এমনটা নির্দেশ দিয়েছে। তবে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্কও তৈরি হয়েছে ইতোমধ্যে।

মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড নামের এই প্রতিষ্ঠানটি নোটিশে বলেছে, এই তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পাঞ্চ মেশিনে পাঞ্চ করতে হবে। যদি কোনো স্টাফ মাসে সাত ওয়াক্ত পাঞ্চ করে নামাজ না পড়েন তবে সেক্ষেত্রে তার বেতন হতে একদিনের সমপরিমাণ হাজিরা কাটা হবে।

অপারেশন্সবিষয়ক পরিচালক মেসবাহ ফারুকী জানিয়েছেন, ‘সবাই আমরা নামাজ পড়ি। আমরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী, আমাদের নামাজ পড়া ফরজ। এখানে মুসলমান যারা আছেন, তারা সবাই নামাজ পড়েন। কিন্তু তারা নামাজ পড়েন বিক্ষিপ্তভাবে। কর্মীদের মধ্যে মতভেদ-দূরত্ব কমানোর একটি উপায় হিসেবে কারখানায় নামাজ বাধ্যতামূলক করার এই সিদ্ধান্ত।

‘আমাদের এখানে বিভিন্ন মতভেদের লোক আছে। এখানে একটা টিম হিসেবে কাজ করতে হয়। এখানে ফেব্রিক ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে নিটিং সেক্টরের হয়তো একটা সমস্যা থাকে। একেকজন একেকজনের ওপর দোষারোপ সারাদিন চলতেই থাকে। তো আমি এটার সমাধান হিসেবে চিন্তা করলাম তাদের যদি একসঙ্গে বসানো যায়, একসঙ্গে কিছু সময় যদি তারা কাটায়, তাদের মধ্যে দূরত্বটা কমবে।’

তবে এ ধরনের নির্দেশনাকে বাংলাদেশের সংবিধানবিরোধী বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের আইন কেন? সংবিধানেই তো বলা আছে ধর্ম কারও ওপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না। কোনো আইন দিয়েই এটা বাধ্যবাধকতা দেয়া যায় না। ইসলাম ধর্মও বলে না কারও ওপরে ধর্ম চাপিয়ে দেয়া যাবে। আপনি যেমনটি বলছেন, তেমনটি হলে তো এটা খতিয়ে দেখতে হবে।’

তবে মেসবাহ ফারুকী বলছেন, বিষয়টি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, তারা অন্য কোনো ধর্মাবলম্বীকে নামাজ পড়তে বাধ্য করছেন না।

-বিবিসি অবলম্বনে

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ