আওয়ার ইসলাম: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে গত তিন মাসে ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা জমা পড়েছে। সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রাসহ বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কারও আছে। যা এ যাবতকালে পাওয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
শনিবার বিকেলে গণনা শেষে মসজিদের দানবাক্স থেকে এই বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আটটি দানবাক্সে জমা পড়া টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। পরে মসজিদ ও মাদরাসার ৬০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ টাকা গণনা শুরু করেন। দিনব্যাপী গণনা শেষে ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা, বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মুহা. ফজলে রাব্বি, সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহা. ফজলে রাব্বি, মুহা. উবায়দুর রহমান সাহেল, ফজলে রাব্বি ও শফিকুল ইসলাম। টাকা গণনার কাজ পর্যবেক্ষণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে জানান, মসজিদের দানবাক্সে পড়া টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পুনরায় মসজিদের দানবাক্সে জমা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাধারণত প্রতি তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। প্রতিবারই কোটি টাকার উপরে দান পাওয়া যায়। এবার তিন মাস ১৯ দিন পর খুলে এ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দান পাওয়া গেছে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক দান পাওয়া যায়। তখন মসজিদের দানবাক্সে দান জমা পড়ে ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা।
-এএ