আওয়ার ইসলাম: গতকাল পাকিস্তানের কিংবদন্তী অলরাউন্ডার ও সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি পঞ্চম কন্যা সন্তানের বাবা হলেন। আর খবরটি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আল্লাহর অসংখ্য আশীর্বাদ ও করুণা আমার ওপর বর্ষিত হচ্ছে। আগে চারজন কন্যাসন্তানের বাবা হওয়ার পর এখন পঞ্চম কন্যার বাবা হয়েছি।’
কন্যা সন্তান নিয়ে শহীদ আফ্রিদি তার আত্মজীবনী ‘দ্য গেম চেঞ্জারে’ লিখেছেন, মেয়েরা পরিবারের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে। তারা সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে বড় উপহার। তাছাড়া নিজের ফর্মহীনতা থেকে ফিরে আসা, ক্রিকেট মাঠ ও মাঠের বাইরে উন্নতি হওয়ার পেছনে নিজ কন্যাদের ভূমিকা দেখেন আফ্রিদি।
তাই সৃষ্টিকর্তাও এই ক্রিকেটারের প্রতি সৌভাগ্যের হাত আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রথম চার কন্যা আকসা, আনশা, আজওয়া, আসমারার পর এবার ঘর আলোকিত করে আসলো পঞ্চম কন্যা। তবে নাম কী রেখেছেন তা এখনো জানাননি।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, কন্যা সন্তান পরিবারের জন্য রহমতস্বরূপ। রাসুল সা. কন্যা সন্তানদের অনেক ভালোবাসতেন। পাশাপাশি কন্যা সন্তান প্রতিপালনে উৎসাহ দিতেন। এক হাদিসে রসুল সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুটি কন্যাকে সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করবে, কিয়ামতের দিন আমি এবং সে এ দুটি আঙ্গুলের মতো পাশাপাশি আসবো (অতঃপর তিনি তার আঙ্গুলগুলি মিলিত করে দেখালেন)’। (মুসলিম, হাদিস নং: ২৬৩১)।
অপর এক হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘যার ঘরে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলো, অতঃপর সে ওই কন্যাকে কষ্ট দেয়নি, তার ওপর অসন্তুষ্ট হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে তার ওপর প্রাধান্য দেয়নি, তাহলে ওই কন্যার কারণে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসনাদ, হাদিস নং: ১/২২৩)।
-এটি