রকিব মুহাম্মদ: আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) লালমনিরহাটের ঐতিহাসিক সাহাবা মসজিদের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন উপলক্ষে ইসলামি মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন সকাল ১১ টা থেকে জামেয়া আস সাহাবা কমপ্লেক্স মাঠে এ আয়োজন শুরু হবে।
এতে লালমনিরহাটের ৭ নং পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সাহাবা মসজিদের সভাপতি মো: দেলওয়ার হোসেন সভাপতিত্বে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, রাসুল সা.-এর চাচা হজরত আব্বাস রাযি.-এর বংশধর ও ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদে আকসার গ্র্যান্ড ইমাম শায়খ আলী উমর ইয়াকুব আল আব্বাসী।
৬৯ হিজরিতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস গ্রামে সাহাবা মসজিদ নির্মিত হয়। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী এই মসজিদটি নির্মাণ করেছেন মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা.-এর একজন সাহাবা। যিনি এই অঞ্চল দিয়ে চীনে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এবং চীনের বিস্মৃত কোয়াংটা নদীর ধারে কোয়াংটা শহরে তাঁর নির্মিত মসজিদ ও সমাধি রয়েছে। ওই সাহাবির নাম আবু আক্কাস রা.।
১৯৮৩-’৮৪ সালের গ্রামবাসী মসজিদটি আবিষ্কার করে। ইসলামিক লেখক মতিউর রহমান বসনীয়া রচিত 'রংপুরে দ্বিনী দাওয়াত' বইয়ে এ মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। রংপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, রাসূলের সা. মামা বিবি আমেনার চাচাতো ভাই আবু ওয়াক্কাস রা. ৬২০ থেকে ৬২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেন (পৃ. ১২৬)।
অনুমান করা হয় যে, ৬৯০ খ্রিস্টাব্দের মসজিদটি আবু ওয়াক্কাস রা. নির্মাণ করেন। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও প্রাচীন এই মসজিদটির উত্তর-দক্ষিণে ২১ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১০ ফুট। মসজিদের ভেতরের পুরুত্ব সাড়ে ৪ ফুট।
বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী মসজিদ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল-জাজিরা সংবাদ প্রকাশ করে। আওয়ার ইসলামের বিশেষ টিম এ মসজিদটি সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের আকর্ষণ তৈরি করতে নিরলস পরিশ্রম করে। পরে এ মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে মসজিদ কমিটি।
উত্তরবঙ্গের অবহেলিত পিছিয়ে থাকা লালমনিরহাট রামদাস পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সাবাহা মসজিদের ঐতিহাসিক মহাসম্মেলন সফল করতে সর্বস্তরের উলামা-মাশায়েখ, শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজিবী সকলকে অংশগ্রহণের উদাত্ত আহব্বান জানিয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সাহাবা মসজিদের সভাপতি মো: দেলওয়ার হোসেন।
বিশেষকরে সাহাবি হজরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর বংশধর ও মসজিদুল আকসার সম্মানিত ইমাম-খতিবকে বরণ করে নিতে সর্বসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
মো: দেলওয়ার হোসেন বলেন, ৬৯ হিজরির সাহাবা মসজিদের ভিত্তি স্থাপন ও সাহাবা মসজিদ পুনর্নির্মাণের ঐতিহাসিক এই সম্মেলনে যোগদান আপামর সকলের কর্তব্য।
আরএম/