ওমর আলফারুক।।
এই শীতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শরণার্থীদের যেসব কষ্টে জীবন-যাপন করছেন, তা আসলে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। খোলা আকাশের নিচে কোনরকমে তাবু গেড়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন তারা বছরের পর বছর। তাদের জন্য মরার উপর খারার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই তীব্র শীত। তার ওপর অধিকাংশ শরণার্থীই এমনসব এলাকায় অবস্থান করছেন, যেসব জায়গায় রীতিমত তুষারপাত হয়। এই তীব্র শীতে আক্ষরিক অর্থেই তাদের জীবন একেবারে নাজেহাল।
প্রতিটি ক্যাম্পে সীমাহীন অনিশ্চয়তায় কোন রকমে বেঁচে থাকার একটা উপলক্ষের আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা। নিজ ভিটে-মাটি, দেশ-পরিজন, সহায়-সম্পদ ফেলে আসা ভুক্তভোগী ছাড়া তাদের কষ্ট অনুধাবন করা চাট্টিখানি কথা নয়।
ইউএনসিআর এর রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে শরণার্থী সংখ্যা ষাট মিলিয়নেরও অধিক। এর মধ্যে সিরিয়ার শরনার্থী সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন দেশে আছেন সিরিয়ার শরণার্থীগণ। এর মধ্যে কেবল তুরস্কের সিরিয়ান রিফিউজি ক্যাম্পে আছেন ৩৬ লাখেরও অধিক শরণার্থী। এই শীতে কল্পনাতীত কষ্টে জীবন-যাপন করছেন তারা।
আমাদের আল্লাহ তাআলা অনেক ভালো রেখেছেন। আমাদের উচিত এই নিয়ামতের কদর করা। মুহাজিরদের কষ্টের জীবনে আমরা হয়তো বাস্তবে সান্ত্বনার প্রলেপ দিতে পারবো না। কিন্তু তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়ানো এই তথ্য-প্রযুক্তির যোগে এখন আর খুব কঠিন কোন বিষয় নয়।
এখন অনেক আন্তর্জাতিক ট্রাস্টেড সেবামূলক প্রতিষ্ঠান অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও ডোনেশন কালেক্ট করে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে শরণার্থী শিবিরে। আমেরিকান স্কলার ইয়াসির কাজিও সম্প্রতি শুরু করেছেন সিরিয়ান মুহাজিরদের শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম। আমরা চাইলেই কিন্তুৃ এসব কার্যক্রমে সামর্থানুযায়ী অংশগ্রহণ করে নিপীড়িত মুসলিমের সহায়তায় এগিয়ে আসতে পারি!
আরএম/