শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


অজ্ঞান থাকা অবস্থার নামাজের বিধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: অপারেশন বা অন্য কোনো কারণে ২ দিন বা তার বেশি সময় ধরে অজ্ঞান থকলে সে অবস্থার নামাজগুলো কি কাজা করতে হবে?

অজ্ঞান অবস্থার নামাজগুলোর কাজা আবশ্যক নয়। কাজা আদায় করতে হবে না। কেউ অজ্ঞান থাকলে জ্ঞান ফিরার পূর্বের নামায কাযা পড়তে হবে না। কারণ, সে জ্ঞানহীন পাগলের পর্যায়ভুক্ত।

আর পাগলের পাপ-পুণ্য কিছু নেই। (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ৩২৮৭ নং, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ২৬/১২৮, ফিকহুস সুন্নাহ্‌ ১/২৪১, আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ২/১২৬) ইবনে উমার (রাঃ) অজ্ঞান অবস্থায় কোন নামায ত্যাগ করলে তা আর কাযা পড়তেন না। (আব্দুর রাযযাক, মুসান্নাফ, ফিকহুস সুন্নাহ্‌ ১/২৪১)

অবশ্য নামায পড়তে পারত এমন সময়ের পর অজ্ঞান হলে জ্ঞান ফিরার পর সেই সময়ের নামায কাযা পড়া জরুরী। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ২/১২৬-১২৭)

পক্ষান্তরে কোন ব্যক্তি যদি কোন কারণে কোন বস্তু ব্যবহার করে স্বেচ্ছায় বেহুশ হয়, তাহলে তার জন্য কাযা পড়া জরুরী। (ঐ ২/১৮)

أخرج الإمام عبد الرزاق في مصننفه 2/ 479 ، رقم الحديث 4153 ، بسنده المتصل عن نافع قال : أغمى على ابن عمر يوما و ليلة فلم يقض ما فاته ، انتهى ،

جاء في الأصل: 1 / 190 قلت : أرأيت رجلا مريضا أغمى عليه يوما و ليلة ثم أفاق ؟ قال عليه أن يقضى ما فاته من الصلاة ، قلت : فإن أغمى عليه أيام ؟ قال: لا يقضى شيئا مما ترك ، قلت : من أين اختلفا ؟ قال للأثر الذي جاء عن ابن عمر ، انتهى

وكذا في مختصر القدوري ” ص 109 ” وفي البحر الرائق 2/ 207 ، و في الفتاوي الهندية : 1/ 137 ، وفي الفتح القدير 2/ 9 ، وفي إمداد الإحكام 2/ 280 ، و إمداد الفتاح। সূত্র: আহলে হক মিডিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ