শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


বাবরি মসজিদ রায় পুনর্বিবেচনার ১৮টি পিটিশনই খারিজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতের ঐতিহাসিক বারবি মসজিদ বিরোধ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর করা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির করা পুনর্বিবেচনার সব আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। এরই মধ্য দিয়ে  ভারতীয় মুসলিমদের মনে বাবরি মসজিদ ফিরে পাওয়ার শেষ আশাটুকুও নিভে গেল।

স্থানীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের এক বেঞ্চের চেম্বার আদালতে উত্থাপিত সব আবেদন খারিজ করা হয়।

গত ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বলা হয়, বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে গড়ে উঠবে রাম মন্দির। আর এর পরিবর্তে অযোধ্যার যেকোনও স্থানে মসজিদের জন্য বরাদ্দ করা হবে ৫ একর জমি।

ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন পড়ে ১৮টি। আবেদনকারীদের মধ্যে মূল মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে ৯টি আবেদন পড়ে। আর ৯টি আবেদন করে ৪০ মানবাধিকারকর্মীর তৃতীয়পক্ষ। মামলার মূল দুই পক্ষ হলো অল ইন্ডিয়া মুসলিমস পারসোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) ও নির্মোহি আখড়া।

ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘পুনর্বিবেচনার জন্য নথিভুক্ত করার আবেদনগুলো খারিজ করা হয়েছে। পর্যালোচনার আবেদনগুলো ও এর সঙ্গে সংযুক্ত কাগজপত্রগুলো সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করেছি আমরা। এরপর ওই মামলা চলার মতো কোনও ভিত্তি না থাকায় পুনর্বিবেচনার আবেদনগুলো খারিজ করা হয়েছে।’

সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছেন, তৃতীয় পক্ষ তথা অধিকারকর্মীরা মূল বাবরি মসজিদ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না হওয়ায় তাদের আবেদনগুলোর অন্তর্ভুক্তির অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। আবেদনগুলো খারিজের পাশাপাশি বিভিন্ন পক্ষের উন্মুক্ত আদালতে শুনানির আবেদনগুলোও বাতিল হয়েছে।

জমিয়ত উলামায়ে হিন্দসহ অন্যান্য যারা রায় পুনর্বিবেচনা আবেদন করেছিল তাদের এআইএমপিএলবি’র যুক্তি হচ্ছে, ‘বাবরি মসজিদে মূর্তি যে জোর করে বসানো হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট সেটা মেনে নিয়েছেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে ওই মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়নি। তাই রাম লালা জমির মালিকানা দাবি করতে পারে না।’

এ ছাড়া মুসলিমদের পক্ষে আরও কয়েকটি আপিল করা হয়েছে। তাদের এক পক্ষের দাবি, ‘বেআইনীভাবে ধ্বংস করা, ফৌজদারি অনুপ্রবেশ, আইনভঙ্গ এবং মসজিদের ক্ষতিসাধন ও ধ্বংসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে রায়ে।’

আবার অন্য একটি পক্ষের বক্তব্য, তারা শান্তি ভঙ্গ করতে চান না। তারা সব সময়ই শান্তিরক্ষা করেছেন। তবে সবসময়ই অশান্তি ও অবিচারের শিকার হয়েছেন তারা। তাই সুবিচার পেতেই তারা পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

- জারবে দেওবন্দ ও হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে রকিব মুহাম্মদ 

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ