আওয়ার ইসলাম: জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা সামীউর রহমান মুসা বলেছেন, উপমহাদেশের অন্যতম শায়খুল হাদীস, বুখারী শরীফের প্রথম বাংলা অনুবাদক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাবেক আমির আল্লামা আজিজুল হক রহ. কে জঙ্গিনেতা আখ্যা দিয়ে গত দু’দিন আগে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন।
“উপমহাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই শীর্ষ আলেমকে হুজির প্রতিষ্ঠাতা ও নেতৃত্বদানকারী আখ্যায়িত করে প্রতিবদেন প্রচার গণমাধ্যমের পেশাদারি দায়িত্বের প্রতি চরম অবহেলা, ধৃষ্টতা ও মুর্খতার শামিল। তাকে হুজির প্রতিষ্ঠাতা বানিয়ে মনগড়া অপপ্রচার করায় দেশবাসীর মনে তীব্র ক্ষোভ, ঘৃণা, নিন্দা ও প্রতিবাদ জন্ম দিয়েছে।”
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ঐতিহ্যবাহী দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজিরবাজার সিলেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কোর্ট পয়েন্টে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় তিনি যদি যমুনা টিভি নিঃশর্ত ক্ষমা না চায়, তাহলে যমুনা টিভি’র সম্প্রচার বন্ধের দাবিতে কঠিন কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামার হুশিয়ারী প্রদান করেন। তিনি সরকারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় যমুনা টিভি’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
মাওলানা ফাহাদ আমানের পরিচালনায় সমাবেশ বক্তব্য রাখেন- জামেয়া মাদানিয়ার ছাত্র পরিষদের সাবেক সহ সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, সহ সাধারণ সম্পাদক ও জামেয়ার মুহাদ্দীস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, মাওলানা পীর আব্দুল জব্বার, মাওলানা মখলিসুর রহমান, মাওলানা আব্দুল খালিক, মাওলানা মুশফিকুর রহমান মামুন।
মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা ইমদাদুল হক নোমানী, মাওলানা আব্দুর রহমান ইউসুফ, মাওলানা নাসির উদ্দীন, হাফিজ কয়েস আহমদ, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা আব্বাস জালালী, মাওলানা আফতাবুদ্দীন নোমানী, মাওলানা ইকরামুল হক জুনাইদ, আল ইসলাহ ছাত্র সংসদের জি.এস হাফিজ আবু আনাস, তানজিল আহমদ, রেজওয়ান আহমদ প্রমুখ।
আরএম/