শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


হাদিসের কিতাব ধরতে অজু করতে হয়?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: দারুল উলুম দেওবন্দের অনলাইন ফতোয়ায় ১৭৫১২৪ নম্বর প্রশ্নে একজন জানতে চেয়েছেন, অজু ছাড়া হাদিসের কিতাব পড়া যাবে কি না?

৩৪৩-২৯৩/M=০৩/১৪৪১ নম্বর ফতোয়ায় দারুল উলুম দেওবন্দ এ প্রশ্রের উত্তরে বলে, হ্যাঁ অজু ছাড়া হাদিসের কিতাব ধরা যাবে। তবে অজু করে পবিত্রতাসহ হাদিসের কিতাব ধরাই উত্তম ও আদব।

অজু সম্পর্কে আরো কিছু জরুরি তথ্য- অজু তিন প্রকার—ফরজ, ওয়াজিব ও মুস্তাহাব।

যখন অজু করা ফরজ: অজু না থাকা ব্যক্তির জন্য চারটি অবস্থার যেকোনো একটির জন্য অজু ফরজ হয়। ০১। নামাজ আদায়ের জন্য, যদি নফল নামাজও হয়। (বুখারি-১৩২) ০২। জানাজার জন্য। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ৪৩৫)

০৩। সিজদায়ে তিলাওয়াতের জন্য। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি-৪৩৫) ০৪। পবিত্র কোরআন স্পর্শ করার জন্য। অনুরূপভাবে অজু ছাড়া ব্যক্তি যদি পবিত্র কোরআনের আয়াত লেখা দেয়াল, কাগজ, টাকা—যেটাই ছুঁতে চাইবে, তার জন্য অজু করা ফরজ। (সুরা : ওয়াকিয়া, আয়াত : ৭৯, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১/১১৩)

অজু করা ওয়াজিব শুধু একটি বিষয়ের জন্য অজু করা ওয়াজিব। তা হলো, কাবা ঘরের তাওয়াফ করা। (তিরমিজি, হাদিস : ৮৮৩)

অজু করা মুস্তাহাব- পবিত্রতার সঙ্গে ঘুমানোর জন্য। (বুখারি, হাদিস : ২৩৯) ঘুম থেকে জাগ্রত হলে। তখন শুধু মুস্তাহাবই নয়, বরং সুন্নাত (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ৫৮৫)।

সব সময় অজু অবস্থায় থাকার জন্য। (ইবনে মাজাহ-২৭৩)। সাওয়াবের নিয়তে অজু থাকা অবস্থায় অজু করা। গিবত ও মিথ্যা কথার আশ্রয় নেওয়ার পর। (মুসলি-৩৬০)

মন্দ ও অশ্লীল কবিতা পাঠের পর। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা:১/১৩৫) নামাজ ছাড়া অন্য অবস্থায় অট্টহাসি দেওয়ার পর। (মুসনাদে আহমদ-৯৩০১)। তবে নামাজে অট্টহাসি দিলে অজু ভেঙে যায়। (দারাকুতনি-৬১৫) মৃতকে গোসল দেওয়ার পর। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস-১৫১৬) মৃতের লাশ ওঠানোর জন্য। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস-১৫০৩)।

প্রতি নামাজের জন্য নতুন অজু করা। (মুসনাদে আহমাদ-৭৫০৪, বুখারি-২০৭) ফরজ গোসল করার আগে। (বুখারি-২৪০)। গোসল ফরজ হয়েছে, এমন ব্যক্তির খাওয়া, পান করা ও ঘুমানোর আগে। (মুসলিম-৪৬১)।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ