আল আমিন বাপ্পি
ময়মনসিংহ থেকে
আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো ময়মনসিংহের আলমী শুরাপন্থী তাবলীগ জামাতের তিন চিল্লার সাথীদের জোড় ইজতেমা। আজ (রোববার) দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল শুরার সাথী মাওলানা ফারুক আহমাদ। দীর্ঘ ১৫ মিনিটের এ দোয়ায় ১৭ জেলার আলমী শূরাপন্থী তাবলিগী সাথীদের অংশগ্রহণের পাশাপাশি ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন থানা এবং শহরের মুসুল্লিদের ঢল নামে।
এর আগে বাদ ফজর থেকে বয়ান করেন ভারতের শুরার সাথী মাওলানরা ইউনুছ। পরে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে হেদায়াতি বয়ান করেন ভারতের মুম্বায়ের শুরার সাথী মাওলানা আব্দুর রহমান। সেই আলোচনা বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে শোনান কাকরাইল শুরার সাথী মাওলানা আব্দুল মতিন।
হেদায়াতি বয়ানে মাওলানা আব্দুর রহমান বলেন, আমরা আমাদের মহল্লাগুলোতে বেশি বেশি দাওয়াতের আমল করব। যদি আমার দাওয়াত কেউ কবুল না করে তাহলে বুঝতে হবে যে আমার আমলে ত্রুটি আছে। তিন চিল্লার জন্য মহল্লার সাথীদের প্রস্তুত করব। এই কাজে সফল হতে চাইলে, রাতের কান্নার কোন বিকল্প নেই। তাই আমরা রাতে বেশি বেশি তাহাজ্জুতের নামাজ পড়বো, লম্বা কেরাত পড়বো, লম্বা সিজদা করব,বেশি সময় নিয়ে দোয়া করবো।
“আমরা যখন তিন চিল্লার জন্য বের হবো তখন আমাদের মোবাইলগুলো বাসা বাড়িতে রেখে আসব। বিশেষ প্রয়োজনে বাহির থেকে মোবাইলের জরুরত পূরণ করব। যখন বিশ্ব ইজতিমা শুরু হবে তখন আমাদের ঘরের সকল মহিলাদের বলবো রুখসত (সমস্যা) না থাকলে রোজা রেখে ইজতিমার সফলতার জন্য দোয়া করতে।
ময়মনসিংহ মারকাজের শুরার সাথী এবং মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা কাজি হাসান মাহমুদ আওয়ার ইসলামকে জানান, এবারের জোড়ে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার তাবলিগী সাথী অংশগ্রহণ করেন। জোড় থেকে মোট ৪০০ জামাত বের হবে বলে জানিয়েছেন কাকরাইলের মুকিম ইঞ্জিনিয়ার আনিছুর রহমান।
গত ২৯ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এ জোড়ে প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যন্ত ঈমান- আমল, আখলাক ও দীনের মেহনত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বিশ্ব ইজতিমাকে সফল করতে ও তিন চিল্লার জামাতে প্রতিজন মুসলমানের আগ্রহ বাড়াতে এবং বাংলাদেশের প্রত্যেকটি এলাকায় তাবলিগ জামাতের কাজ সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ হেদায়াত দেওয়া হয়।
আরএম/