আওয়ার ইসলাম: ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান পর্দা বিষয়ে একটি ফতোয়া প্রদান করেছে বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক ইসলামি বিদ্যাপীঠ মিসরের জামিয়াতুল আযহার। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির ফতোয়া বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে ওই ফতোয়া প্রদান করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়,পর্দা কুরআন দ্বারা সাব্যস্ত অকাট্য ফরজ বিধান, এতে ইজতিহাদ বা গবেষণা অগ্রহণযোগ্য, যুক্তিতর্কের কোন স্থান পর্দার বিধানে নেই। মুসলিম নর-নারীর জন্য সমানভাবে পর্দা পালন অতি আবশ্যকীয়, এ নিয়ে মূর্খদের নেতিবাচক মন্তব্য অসার। -খবর আল উম্মাহ ডটকম-এর।
যারা পর্দা আবশ্যক না হওয়ার নেতিবাচক শিক্ষা দেয়, তাদের থেকেও মুসলিমদের সতর্ক থাকতে আহবান জানিয়েছে আল আযহারের ফতোয়া বিভাগ।
সম্প্রতি মিসরে হিজাবের বিধান নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়; কিছু সাংবাদিক ও শোবিজ তারকা হিজাব ও নেকাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কোন প্রমাণ ছাড়া এমন দাবি করা অসৎ লোকদের মুখ বন্ধ করার জন্য এই ফতোয়া প্রদান করেছে জামিয়াতুল আযহার।
কুরআনের সূরা আন নুরের ৩০ ও ৩১ নাম্বার আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পর্দা এবং যে কোন ফরজ বিধানের বিরোধিতা করার অধিকার কারও নেই। যে কেউ এ ব্যাপারে কথা বলার অধিকার রাখে ননা। কেননা, পর্দা ফরজ হওয়া প্রসঙ্গে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন,“মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ” (২৪:৩০)
৩১ নাম্বার আয়াতও সংযুক্ত করা হয় প্রকাশিত বিবৃতিতে, “ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত: প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাদি, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পাদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (২৪:৩১)
আল উম্মাহ ডটকম অবলম্বনে বেলায়েত হুসাইন
আরএম/