আওয়ার ইসলাম: ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় কক্সবাজার প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মুহাম্মদ সামছু দ্দৌজা।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রেডক্রস,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও দমকল বাহিনীসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে। কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব মিলিয়ে ৩ হাজারের মতো ভলেন্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সকালে ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থাদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। শিবিরের মসজিদে মাইকিং করে সবাইকে সর্তকতা করা হচ্ছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করা রোহিঙ্গাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। এতে এনজিওগুলো তাদের সহযোগিতা করছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. সাইফুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারের স্থানীয়দের পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তাছাড়া সব আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের ভেতরে মসজিদ, স্কুল ও আশপাশের স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগে অবহেলা না করে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য মাইকিংসহ নানাভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে লোকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পেরও খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।
-এএ