আওয়ার ইসলাম: বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা সম্বলিত রায়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী।
তিনি বলেছেন, এতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের স্বপ্নই বাস্তবায়িত হয়েছে। বাবরি মসজিদের ওপরই রাম মন্দির গড়া উচিৎ বলে, হিন্দুরা হুংকার ছেড়ে আসছে আগে থেকেই।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রায়ে কাল্পনিক চরিত্র রামের স্বীকৃতি একটি মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। কেননা নিরপেক্ষ ও সূক্ষ্ম সমালোচক, প্রতিভাদীপ্ত ঐতিহাসিকগণ এবং বরেণ্য হিন্দু পন্ডিতগণ রামকে একটি কাল্পনিক চরিত্র হিসেবে অখ্যায়িত করেছেন এবং রামায়ণ, মহাভারত ও পূরাণকে ইতিহাস হিসেবে স্বীকার করেননি।
তাদের মতে, রামায়ণ, মহাভারত ও পূরাণ কাব্যের বই, ইতিবৃত্ত নয়। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক সুরেন্দ্র নাথ এমপিএইচডি,আরএস, ডিলিট-এর মতে রাম ও যধিষ্ঠির নামে কোন রাজা ছিল না। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, ‘স্মৃতি পুরাণাদি সামান্য বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের রচনা, ভ্রম, প্রমাদ, ভেদবুদ্ধি ও দ্বেষবুদ্ধিতে পরিপূর্ণ’।
তিনি আরও বলেন, বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার রায়ে বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই। কেননা রামের কথিত জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমির বিবাদ নিয়ে চলা মামলা নিষ্পত্তির আগেই বাবরি মসজিদের ওপর রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি নেতা সাক্ষী মহারাজ। এমনকি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির এই সাংসদ। সাক্ষী মহারাজ জানিয়েছিল , আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে ওই স্থানে রামের মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, ২৭ বছর আগে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যাতে বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে শিবসেনার হিন্দু কর্মীরা । সেদিকে ইঙ্গিত করে সাক্ষী মহারাজ বলেন, যেদিন এই কাঠামোটিকে (বাবরি মসজিদ) ভেঙে দেয়া হয়েছিল, সেই তারিখেই মন্দির নির্মাণ শুরু করা উচিত।
আরএম/