আওয়ার ইসলাম: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় উপজেলা মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা ও রামপালের বাসিন্দারা।
শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার মানুষ জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও শত শত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলার উপকূল ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যার আগে থেকে বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় বাড়তে থাকে। নিজ বাড়ি ছেড়ে সবাই আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটতে থাকে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে সুপেয় পানি, খাবার ও পয়ঃনিষ্কাশনের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আশ্রয়প্রার্থীরা।
এ দিকে শনিবার দুপুরে সাউথখালী ইউনিয়নের বগী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজজ্জামান খানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজজামান খান বলেন, স্থানীয়রা বাঁধের যে জায়গাটিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে, আমরা সে এলাকা পরিদর্শন করেছি। ঘূর্ণিঝড়ে ৫ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হলেও কোনো সমস্যা হবে না। পানির পরিমাণের থেকে বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। তবে বাঁধের কোথাও যদি কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে এক ঘণ্টার মধ্যেই সংস্কার কাজ শুরু করা যাবে। সে অনুযায়ী আমরা স্কেভেটরসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোকবল প্রস্তুত রেখেছি।
অন্যদিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহা. মাহমুদুল হাসান জানান, ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলায় সুন্দরবন বিভাগের ৮৩টি বন অফিসের ৮০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
-এএ