আওয়ার ইসলাম: পাকিস্তানের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী নুরুল হক কাদেরি মাওলানা ফজলুর রহমানকে উদ্দেশ্যে করেবলেন, আপনার অতীতের কর্মপন্থায় দেখা যায়, আপনি সবসময় বিভিন্ন বিকল্প উন্মুক্ত রাখেন এবং ইতিবাচক থাকেন। আপনি সমঝোতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। সুতরাং অচলাবস্থা নিরসনের কোনো না কোনো পথ অবশ্যই বেরিয়ে আসবে বলে আপনি নিশ্চিত।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের যে দাবি বিক্ষোভকারীরা তুলেছেন, তা পূরণ হওয়ার মতো নয়।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে সরকারের পক্ষে লাখ লাখ ভোট পড়েছে, ১৫-২০ হাজার মানুষের জমায়েতে তার অবসান হবে কিসের ভিত্তিতে?
তিনি বলেন, অন্যান্য দাবির মধ্যে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করা নিয়ে উভয় পক্ষের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
কাদেরি বলেন, বিরোধীদলীয় কমিটিকে বলা হয়েছে, আমরা যখন কমিশনকে শক্তিশালী, স্বাধীন ও ক্ষমতাবান করব, তখন তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তারা সেনাবাহিনীর আগমন চান কি না, তা পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পারভেজ খট্টক সরকার বিরোধী দলগুলোকে গত নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে কোনও প্রমাণ থাকলে প্রমাণ আনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধীরা যদি কারচুপির প্রমাণ আনতে পারে তবে একটি কমিশন গঠন করা হবে।
এদিকে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরকারের সাথে আলোচনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে বিরোধীদলের নেতারা দুপুরে জমিয়ত নেতা (জেইউআই-এফ) আকরাম দুরানির ইসলামাবাদে বাসায় বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইমরান খানকে হটাতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (ফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে দেশটির বিরোধী দলগুলি রাস্তায় নেমেছে। ওই আন্দোলনকে আজাদী মার্চ নামে অভিহিত করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অন্যান্য সব দাবি মানতে রাজি হলেও পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে চলমান আজাদী মার্চ নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সরকারের বিশেষ কমিটি ও বিরোধী দলগুলোর রাহবার কমিটি দফায় দফায় বৈঠক করছে।
আরএম/
