আওয়ার ইসলাম: রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (এফ)-এর প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মাওলানাকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিচার শুরু করতে ফেডারেল সরকারের প্রতি নোটিশও জারি করেছে লাহোর হাইকোর্ট।
উচ্চ আদালতের একক বিচারকের বেঞ্চ যতদ্রুত সম্ভব সরকারকে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছে, দেশে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেকোনো কার্যক্রম বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। এর আগে মাওলানা ফজলুর রহমানের গ্রেফতার এবং তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের বিচার শুরু করার আহ্বান জানিয়ে আদালতে একটি পিটিশন দায়ের কারেন অ্যাডভোকেট নাদিম সরওয়ার।
পিটিশনে নাদিম বলেন, মাওলানা ফজলুর রহমান জনগণকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পরিচালিত করছেন। এতে দেশে অরাজকতা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ মাওলানা বলেছিলেন, আজাদী মার্চে অংশগ্রহণকারীরা প্রধানমন্ত্রীর ভবনে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে পারে।
অ্যাডভোকেট নাদিম আরও বলেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জনগণকে পরিচালিত করা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মধ্যেই পড়ে। তাই জমিয়ত-এফ প্রধানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিচার শুরু করা হোক।
এর আগে ইসলামাবাদে চলমান আজাদী মার্চ থেকে মাওলানা ফজলুর রহমান বলেছিলেন, পদত্যাগ না করলে বিরোধীদলীয় বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করবেন। জমিয়ত প্রধানের এমন বক্তব্যের পর গত শনিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খট্টক মাওলানা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, মাওলানা আজাদী মার্চে উপস্থিত লোকেদের প্ররোচিত করছে। তাদের ভুল পথে চালিত করছে। এটি প্রকাশ্যে বিদ্রোহ এর দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই আমরা তার বিপক্ষে মামলা করার প্র্রস্তুতি নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, ইমরান খানকে হটাতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (ফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে দেশটির বিরোধী দলগুলি রাস্তায় নেমেছে। ওই আন্দোলনকে আজাদী মার্চ নামে অভিহিত করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে চলমান আজাদী মার্চ নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সরকারের বিশেষ কমিটি ও বিরোধী দলগুলোর রাহবার কমিটি দফায় দফায় বৈঠক করছে।
আরএম/