আওয়ার ইসলাম: আবরার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আবরার হত্যার আসামিরা মদ্যপ ছিলো বলে তদন্তে পাওয়া যায়নি। মদ্যপানের কারণে বা নেশাগ্রস্ত হয়ে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আমাদের তদন্তে মনে হয়নি। আর স্বাক্ষীতেও মদ্যপানের কথা আসেনি। তাই আসামিরা মদ্যপ ছিলো বলে শাস্তি লঘু হবার কোন সুযোগ নাই।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভলপমেন্ট করপোরেশনে (বিএফডিসি) আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। যে কক্ষে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে সেই কক্ষে সিসিটিভির ফুটেজ না থাকলেও, কারা প্রকৃত অপরাধী তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে। যা চার্জশিটে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে।
তিনি বলেন, আবরার হত্যার সময় পুলিশ মূলত তথ্যের অপর্যাপ্ততার বাধার সম্মুখীন হয়েছে। উপযুক্ত তথ্য পেলে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো। আবরার কখন প্রাণ হারিয়েছে সে রকমের কোন তথ্যই পুলিশের কাছে ছিল না। বুয়েটে পুলিশ কখন গিয়েছে, কি পদক্ষেপ নিয়েছে সবই চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে ৫ অক্টোবর শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ।
এর জের ধরে ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা। তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।
-এএ