আওয়ার ইসলাম: অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শফিকুল আলম ফিরোজের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৩০ অক্টোবর) তার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
এর আগে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। ২১ সেপ্টেম্বর তাকে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুইটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ফিরোজের তত্ত্বাবধায়নে একটি জালিয়াত চক্র বহুবছর ধরে ধানমন্ডি, পান্থপথ, কলাবাগান ও রাজাবাজার এলাকার বিভিন্ন জমির কাগজপত্র জালিয়াতি করে অবৈধ দখল ও হয়রানি করে আসছে। এই কাজে তারা আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে ফিরোজের জালিয়াত চক্রটির চোখ পড়ে পান্থপথের বউ বাজারের মো. শহিদুল্লাহ ও রোস্তম আলী গংদের প্রায় দুই একর খালি জমিতে। ফিরোজ জমিটি জালিয়াতির জন্য অভিনব পন্থা অবলম্বন করেন। জালিয়াত চক্রটি প্রথমে তিন জন মানুষকে এই জমিটির মালিক হিসেবে দাঁড় করভন যাদের পিতা ও মাতার নাম এবং জমিটির প্রকৃত মালিক মো. শহিদুল্লাহর পিতা ও মাতার নাম একই। এই তিন জনের একজনের নাম পরিবর্তন করে মো. শহিদুল্লাহর নামের সঙ্গে মিল রেখে ‘শহিদুল্লাহ আবদুল মজিদ’ রাখা হয় যার প্রকৃত নাম আবদুল মজিদ। অন্য দুই জন হলেন সুফিয়া বেগম ও রাজিয়া বেগম।
জালিয়াত চক্রের শহিদুল্লাহ আবদুল মজিদ ভুয়া মুহা. শহিদুল্লাহ সেজে সিটি করপোরেশন থেকে আলোচ্য জমির বিপরীতে একটি হোল্ডিং নম্বর নেন। এটি প্রকৃত মালিক মুহা. শহিদুল্লাহর আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বাতিল করে। ভুয়া শহিদুল্লাহ মজিদ এই হোল্ডিং নম্বর ব্যবহার করে ইলেকট্রিসিটি, পানি ও গ্যাসের লাইনও নেন।
এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিকুল আলম ফিরোজকে আটক করে র্যাব। একসময় বিএনপির এক নেতার ক্যাডার ছিলেন তিনি। পরে তিনি হন আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন। আটকের পর তাকে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
২১ সেপ্টেম্বর অস্ত্র ও মাদক আইনে র্যাবের করা দুই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর একে একে তিন দফায় তাকে রিমান্ডে নেয় র্যাব।
-এএ