আওয়ার ইসলাম: ভোলায় আল্লাহ ও মহানবী সা. কে নিয়ে কটুক্তিকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিরীহ তাওহিদী জনতার উপর নির্বিচারে গুলি করে হত্যার ঘটনার বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মৌলভীবাজার উলামা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে শহরের টাউন ঈদগাহ প্রাঙ্গনে ভোলার ঘটনার প্রতিবাদে জেলা উলামা পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে আয়োজন করে। তাতে জেলার শীর্ষ আলেম মাওলানা আব্দুল বারী ধর্মপুরী এ দাবি জানান।
এসময় বক্তারা বলেন, ৯০ ভাগ সংখ্যাঘরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশে ইসলাম নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বিশাল একটি সমাবেশে পুলিশ নির্যাতন চালিয়ে নির্বিচারে চারজনকে কিভাবে গুলি করে হত্যা করেছে তা পুরো জাতি দেখেছে।
এতবড় একটি হত্যাকান্ডের ঘটনাকে আড়াল করতে ফেইসবুকে দেয়া পোস্টকে আইডি হ্যাক হয়েছে বলে ঘটনা তদন্ত না করেই মন্তব্য করাকে চরম মিথ্যাচার উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, যেদিন বাবরি মসজিদ হিন্দুরা ভেঙ্গে দেয় সেদিন সারা দেশের মাদ্রাসা ছাত্ররা হাজার হাজার মন্দির পাহাড়া দিয়ে রক্ষা করেছেন।
রাজনগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও খেলাফত মজলিসের সভাপতি নুরুল কোরআন মাদ্রাসার মোহতামিম মাও. আহমেদ বিলাল ও দারুল উলুম টাইটেল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাও. মুজাহিদ আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বরুনা মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল হাই।
দারুল উলুম টাইটেল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মুফতি শামছুজ্জোহা, রাধানগর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মুগনি,বরুনা মাদ্রাসার নায়েবে মোহতামিম লন্ডন প্রবাসী শায়খ মাওলানা নুর আলম হামিদী বর্নবী , মাওলানা সৈয়দ মুজাদ্দিদ আলী।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর জেলা সভাপতি মুফতি মাও. হাবিবুর রহমান কাসেমী, বড়চেগ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও.লুৎফুর রহমান কামালী, মাওলানা মাও. ইসকাম উদ্দিন, ডা. ফজলুর রহমান, প্রকৌশলী হুসাইন আহমদ, সৈয়দ সাইফুর রহমান প্রমুখ।
ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া এই সমাবেশে জেলা সদরের বিভিন্ন মাদরাসার হাজারো ছাত্র-শিক্ষকের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে কুসুমবাগ এলাকায় মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
-এএ