আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশিসহ সকল প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশাল প্রাপ্তির সুখবর দিলো কাতার সরকার।
তথ্যমতে সম্প্রতি দেশটির নতুন শ্রমনীতি সংস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আর শ্রমনীতি সংস্কার হলে বৈষম্যহীন মজুরি ও শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে সেখানে। এতে প্রবাসীরা সরাসরি উপকৃত হবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বার্তা সংস্থা পার্সটুডে প্রক্সাহিত সংবাদ মতে, কাতারে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, নতুন আইনটি বাস্তবায়ন হলে অভিবাসী শ্রমিকরা নিজেদের পছন্দমতো চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন।
এছাড়া তাদের দেশে বেড়াতে যেতে অনুমতির কড়াকড়ির বিষয়টি অনেকটা শিথিল হয়ে আসবে। সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো- ন্যূনতম মজুরির বৈষম্য দূর হবে এই আইন প্রবর্তণের মাধ্যমে।
পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, অভিবাসী শ্রমিকদের চাকরি পরিবর্তন করতে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) গ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল। আর সেই অনাপত্তিপত্র প্রবাসীদের কাছে প্রায় সোনার হরিণের মতোই। কিন্তু নতুন নীতিতে সেই নয়ম আর বহাল থাকছে না।
১৯৫০ সালে করা শ্রমনীতি আইনের সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে কাতার সরকার। সামরিক বাহিনী বাদে অন্য কর্মস্থলের শ্রমিকদের চাকরি পরিবর্তন ও বহির্গমনের জন্য অনাপত্তিপত্র বাধ্যতামূলক নয় মর্মে কাতারের মন্ত্রিসভায় একটি ডিক্রি অনুমোদন করেছে।
এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৈষম্যহীন ন্যূনতম মজুরি কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন নীতিমালাও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে কাতারেই প্রথম এ ধরনের আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন এ শ্রম আইন কার্যকর হবে।
-এটি