আওয়ার ইসলাম: খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, ভোলায় তাওহিদী জনতার বুকে গুলি চালিয়ে সরকার ইসলাম ও মুসলমানদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাওহিদী জনতা আল্লাহ ও রাসুল সা.-এর অবমাননার বিচার চেয়েছিলো। কিন্তু সরকারের পুলিশবাহিনী নির্বিচার গুলি চালিয়ে তাওহিদী জনতার বুক ঝাঝরা করে দিয়েছে। এ জুলুম কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
‘ভোলার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। তাওহিদী জনতার উপর গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার করতে হবে। আল্লাহ-রাসূল সা. তথা ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন করতে হবে’।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় পুরাানপল্টনস্থ মজলিস মিলনায়তনে ভোলার শহিদদের জন্যে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, মহানবী সা.কে অবমাননা মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণের সৃষ্টি করে। ইসলাম অবমাননার বিচার চাইতে গেল তাদেরকে পাখীর মত গুলি করে শহিদ করা হলো, শতাধিক লোককে মারাত্মকভাবে আহত করা হলো। আবার সেই প্রতিবাদী তাওহিদী জনতার বিরুদ্ধে পুলিশী মামলা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। সাধারণ জনতার বিরুদ্ধে দায়ের করা পুলিশী মামলা তুলে নিতে হবে। ধর্মীয় অবমাননা বন্ধে কঠোর আইন প্রনয়ন করতে হবে।
খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল জলিল, হাফেজ মাওলানা জিন্নত আলী, হাজী হারুনূর রশীদ, কাজী আরিফুর রহমান, এডভোকেট সৈয়দ সানাউল্লাহ, ছাত্র মজলিস ঢাকা মহানগরী সভাপতি কে এম ইমরান হোসাইন, রাশেদ আহদ প্রমুখ।
মাহফিলে ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণে শাহাদৎবরণকারীদের জন্যে এবং আহতেদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া-মুনাজাত করেন আমিরে খেলাফত মজলিস মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক।
-এএ