আওয়ার ইসলাম: কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে লিবারেল পার্টির নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত হওয়ায় পার্টির নেতা জাস্টিন ট্রুডোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ট্রুডোকে এক অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার বিশ্বাস, আপনার এই বিজয় বিশ্ব নেতৃত্ব হিসেবে সত্যিকারের স্বীকৃতি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, কানাডার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বাংলাদেশ সবসময় গুরুত্ব দেয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আপনার পিতা ও কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তখন থেকেই আমরা আমাদের দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান উদারনৈতিক আদর্শ ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের মধ্য দিয়ে আরো বেশি ঘনিষ্ঠ হতে থাকি। এই সম্পর্ক আরো নতুন উচ্চতায় যায় ২০১৫ সালে যখন আপনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আপনার সক্রিয়তা ও ধারাবাহিক সহায়তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমার বিশ্বাস আগামী দিনগুলোতে আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যকার উষ্ণ ও মজবুত সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
উল্লেখ্য, জাস্টিন ট্রুডো কানাডার লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে ২০১৫ সালে দেশটির ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। জো ক্লার্কের পর তিনি কানাডার দ্বিতীয় কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার পিতা পিয়েরে ট্রুডোও কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্নাতক শেষে ট্রুডো ভ্যানকুভারের ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
কানাডার রাজধানী অটোয়াতে জন্ম নেয়া ট্রুডো কলেজ জিন-দ্যে-ব্রেবুফ এ পড়ালেখা করেন। ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে এবং ১৯৯৮ সালে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া থেকে স্নাতক করেন। পিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে দেয়া একটি বক্তব্যের মাধ্যমে সবার নজরে আসেন ট্রুডো। বাবার মৃত্যুর আট বছর পর ট্রুডো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
২০০৮ সালের ফেডারেল নির্বাচনে হাউজ অফ কমন্সে তিনি কানাডার পাপিনিয়ায় বিভাগের (লিবারেল পার্টির যুব ও সংস্কৃতি বিভাগ) সাংসদ নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের এপ্রিলে ট্রুডো লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব পান। ২০১৫ সালে তার নেতৃত্বে ১৮৪টি আসন পেয়ে কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন নিয়ে লিবারেল পার্টি সরকার গঠন করে।
-এএ