আওয়ার ইসলাম: আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল সা. ও ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভোলার বোরহানউদ্দিনে ইসলাম নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান হেফাজতের নেতারা।
হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির নুর হোসাইন কাসেমী বলেন, অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই চলবে। এ দেশের মানুষ শান্তি চায়। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দিন। আমাদের এই শান্তিপূর্ণ দেশে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের দেশে বিরাজমান শান্তি নষ্ট করতে চায়। এই দেশে ইসকনের সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। এই দেশে কোনো অশুভ তৎপরতা দেশের শান্তিকামী তৌহিদী জনতা মেনে নিবে না। চলতে দিবে না।
সমাবেশে বক্তব্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ নিজামী বলেন, আজ ইসলাম বিরোধী শক্তি মাঝে মাঝে পরীক্ষা করে ইসলাম এ দেশে টিকে আছে কি না। তারা তৌহিদি জনাতে ক্ষিপ্ত করে তুলতে চায়।
তারা দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে। আমি তৌহিদি জনতাকে সধাসর্বদা সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান করছি। সরকার কী করছে আমি জানি না। স্ট্যাটাস দেয়ার দুইদিন হয়ে গিয়েছিলো তারা এটা বলতে পারে না এটা হ্যাক না কি অন্যকিছু। আমরা আজ এর ন্যায় বিচার চাই।
সমাবেশে বক্তব্যে হেফাজতের নেতারা বলেন, ভোলার বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। একই সাথে গুলিবর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রত্যাহার করতে হবে। কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
তারা বলেন, চট্টগ্রামের হাটহাজারির আন্দোলনে তারা যে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন এর মধ্যে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তৌহিদী জনতাকে অজ্ঞাত মামলা থেকে মুক্তি দিতে হবে।
তারা বলেন, যে কয়জন তৌহিদী জনতা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে এবং যারা চিকিৎসাধীন তাদের সর্বোত্তম চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর নূর হোসাইন কাসেমী, মহাসচিব আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা মাহফুজুল হক, হেফাজত নেতা আহমদ আব্দুল কাদের, আব্দুল লতিফ নেজামী, মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, লোকমান মাযহারী, মাওলানা নুরুল ইসলামসহ হেফজতে ইসলামের আরো অনেক নেতাকর্মী।
-এটি