রকিব মুহাম্মদ ।।
ফেসবুকে মহানবী সা.-কে কটূক্তির অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরের ঈদগাহ মসজিদ চত্বরে রবিবার (২০ অক্টোবর) তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাকা হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার মধ্যেই সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
পরে সেখানে আসা লোকজন মোনাজাত পরিচালনাকারী দুই ইমামের ওপর চড়াও হন। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় গ্রামবাসী। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছুড়লে চার ব্যক্তি নিহত ও ১০ পুলিশসহ দেড়শতাধিক আহত হন। আহতদের বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভোলা সদর হাসপাতাল ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মীয় সংগঠনগুলো দিনভর বিক্ষোভ করেছে। ভোলায় সাধারণ জনতার এ আন্দোলনকে 'ব্লাসফেমি আন্দোলন' হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা আরবী ও ইংরেজীর খবরে বাংলাদেশে মুসলিমবিরোধী ফেসবুক পোস্টের জেরে চারজন নিহত এবং ৫০জন আহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স আন্দোলনরত উত্তেজিত জনতার হামলার জবাবে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় বলে সংবাদ প্রচার করলেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কারণেই আন্দোলন হয়েছে বলে উল্বেলখ করা হয়েছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম ডয়েজ ভেলে ও এএফপির খবরেও চারজনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে এবং ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সাধারণ জনতার বিক্ষোভ মিছিলকে 'ব্লাসফেমি আন্দোলন' হিসেবে তুলে ধরে চারজনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে।
ভারতের দ্যা হিন্দু, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আনন্দবাজার, এনডিটিভি, নিউজ১৮সহ বেশকিছু সংবাদপত্রে ভোলায় চারজন নিহতের ঘটনাকে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।
এছাড়াও বিবিসি, ওয়াসিংটন পোস্ট, স্ফুটিং ডটকম, নিউইয়র্ক টাইমসসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে ঘটনাটি।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মীয় সংগঠনগুলো দিনভর বিক্ষোভ করেছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি।
আরএম/