আওয়ার ইসলাম: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় আবুল কালাম আজাদ নামে মসজিদের এক ইমামের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে গোবিন্দ দেবত্তর বিলের পাশে গাছে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
আবুল কালম আজাদ সাদুল্লপুরের উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় দাদন ব্যবাসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজ্উাল ইসলাম ও রাজু মিয়ার সাথে তার সুদের টাকার লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা।
তারা জানান, আবুল কালম আজাদ মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। নামাজ শেষে দাদন ব্যবাসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজাউল ইসলাম ও রাজু মিয়া তাকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে বাড়ি না ফেরায় লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে। পরে সকালে পাশের গ্রামের গোবিন্দ দেবত্তর বিলে গাছের সাথে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। মনে হচ্ছে, সুদের টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের বড় মেয়ে ফতেমা বেগম জানান, ৮মাস আগে তার বাবা অভাবে পরে পলাশবাড়ী উপজেলার উদয়সাগর এলাকার এক দাদন ব্যবসায়ী শাহারুলের কাছে থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। কিছুদিন আগে সেই টাকা পরিশোধও করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারেন তাকে ওই টাকার সুদ দিতে হবে। গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) ওই টাকার সুদের (লাভের) জন্য শাহারুল তার সহযোগী শরিফুল ও মিলনকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আসেন। তারা সুদের (লাভের) টাকার জন্য ইমাম আবুল কালামকে চাপ দেন। কিন্তু ইমাম আবুল কালাম সুদের টাকা দিতে অপারগতা জানান। এতে দাদন ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। তাদের দাবি, ওই দাদন ব্যবসায়ীরাই ইমাম আবুল কালামকে হত্যার করেছে।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি এস এম আবদুস সোবাহান জানান, আপাত দৃষ্টিতে বিষয়টি আত্নহত্যা বলে ধরে নেয়া যায়। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
আরএম/