হুসাইন মাহমুদ♦ কাশ্মীরের গুন্দাহ কারীম নগর (তালাঙ্গা) মসজিদে যমযমে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে ইসলামি শিক্ষা এবং আমাদের সমাজের পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন হযরত মাওলানা খাজা কালিমুদ্দিন। তিনি জামিয়া সিদ্দিকিয়া ফয়জুল উলূম করীম মাদরাসার নাযেম এবং নায়েবে সদর জমিয়তে উলামা তালাঙ্গা।
তিনি বলেন, নবি কারীম সা. পূর্বে জাহিলিয়াতের জমানায় ছিলো সব ধরনের শিরক্ নগ্নতা, জুলুম নির্যাতন, এবং নিজ মেয়েকে জীবন্ত পুতে ফেলতো। সর্বদা আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত ছিলো তারা। ঠিকঐ মূহুর্তে আল্লাহ তায়ালা নবী কারীম সা. কে নবুওত ও রিসালাত দিয়ে পাঠিয়ে সবার মাঝে মুহাম্মদের ধর্মকে ব্যাপকভাবে ঘোষণা করে দিলেন এবং অবশ্যি রাসূল সা. আমাদের যে দীন শিক্ষা দিয়েছেন তা কেয়ামত পর্যন্ত থেকে যাবে। তাঁর আনিত ধর্ম কেয়ামত পর্যন্ত বিশ্বের আনাচে-কানাচে প্রতিটি মানুশের দৌরগোড়ায় পৌঁছাতে থাকবে।
এছাড়াও মাওলানা সাহেব আরও বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের উপর আনুগত্য করার পদ্ধতি ও তাঁর উম্মতের সাথে সুন্দর ব্যবহার, এবং মুহাব্বাত ভালবাসার সাথে সদাচরণ করার ঘটনা উল্লেখ করে বলেছিলেন। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বাতলানো পথে না চলে অন্যদের পথ অনুসরণ করবে, সে পথে দুনিয়া ও আখেরাতে সাফল্য খুঁজে পাবে না।
ইরানের বাদশাহ খসরো পারভেজ যখন নবী করিম সা. এর ইসলামিক দাওয়াত সম্বলিত একটি চিঠি ইসলাম আনার প্রতি অসম্মান প্রকাশ করেছেন, তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে এবং তার সালতানাতকে টুকরো টুকরো করে দিলেন।
এ ঘটনা উল্লেখ করার পর তিনি মুসলিম যুবকদের সম্ভোধন করে বলেছিলেন, ইসলামকে অমান্য করা এবং আল্লাহর রাসূলের নামের অবমাননার ফলস্বরূপ খসরো পারভেজ এবং তার সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে গেছে। এমনিভাবে যে ব্যক্তি ইসলাম আনার প্রতি অনিহা প্রকাশ করবে, কুরআনের জ্ঞান ও রাসূলের শিক্ষা লঙ্ঘন করবে তার থেকে আল্লাহর রহমত ও নেয়ামত তুলে নেয়া হবে।
মাওলানা তার বয়ানের শেষে বলেছিলেন আজ আমাদের হৃদয়ে আল্লাহ, রাসূল, কুরআন,এবং আল্লাহর নবী সা. সুন্নত ও তার বাতলানো পদ্ধতিগুলির প্রতি মুহাব্বাত নেই বরং ইহুদী খ্রিষ্টানদের পথ অনুসরণ করি ভালবাসি এবং তাদের সংস্কৃতি অবলম্বন নিজের মাঝে ফিট করি, যদিও ইসলামের চেয়ে উত্তম কোন ধর্ম নেই এবং আল্লাহ তায়ালার রাস্তার চেয়ে উত্তম আর কোন উপায় নেই। সূত্র: ফিকরুখবর
-এটি