আওয়ার ইসলাম: চাঁদপুরের পদ্মা নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে নৌপুলিশের সঙ্গে আবারো সেই একই এলাকায় জেলেদের সংর্ঘষ হয়েছে। এতে দুই পুলিশসহ একজেলে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৯ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ইলিশ মাছ ও জাল।
বুধবার সকালে সদর উপজেলায় পদ্মা নদীর দূর্গমচর রাজরাজেশ্বরে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আহত জেলে তাজুল হাওলাদারকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তন্ময় মাতাব্বর ও শাহারুখ হোসেন নামে পুলিশের দুই কনস্টেবলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর নৌথানার ওসি আবু তাহের খান জানান, ভোরে সহকারী পুলিশ সুপার মুহা. ইসমাইল মিয়ার নেতৃত্বে নৌপুলিশের একটি দল লঞ্চ ও স্পিডবোট নিয়ে নদীতে মাছ ধরারত জেলেদের ধরতে যায়। এ সময় সংঘবদ্ধ জেলেরা ইটের টুকরো, জালের কাঠি এবং লগিবৈঠা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে নৌপুলিশ দুই রাউন্ড শটগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় তন্ময় মাতাব্বর (২৮) ও শাহারুখ হোসেন (২৫) নামে দুই কনস্টেবল আহত হন। তাদের সঙ্গে জেলে তাজুল হাওলাদারও (৩০) আহত হন। পরে তাদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার সুজাউদৌলা রুবেল জানান, এদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবলদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত জেলেকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার জামশের আলী জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় উপ পরিদর্শক আহমেদ মোর্শেদ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় আটক ৯ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাত আরো ৪০-৫০ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করছেন।
এদিকে পদ্মা ও মেঘনা নদীবেষ্টিত দূর্গমচর রাজরাজেশ্বরে বেপরোয়া জেলেদের লাগাম টেনে ধরতে সেখানে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মুহা. মাহবুবুর রহমান জানান, সবধরণের সুবিধা নিয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত রাজরাজেশ্বরে মোতায়েন থাকবে। তবে আগামী ২-১ দিনের মধ্যে তা কার্যকর হচ্ছে।
-এএ