আওয়ার ইসলাম: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শিশু তুহিন হাসানকে (৫) নৃশংসভাবে হত্যার পেছনে তার পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দিরাই থানা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন তিনি।
সেদিন (সোমবার) সকালে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রাম থেকে কান ও যৌনাঙ্গ কাটা অবস্থায় তুহিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার পেটে দু’টি ছুরি ঢোকানো ছিল।
এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, স্বজন ও প্রতিবেশীসহ ছয়জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ হেফাজতে নেয়া ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
উল্লেখ্য, রোববার রাতে স্থানীয় মসজিদের পাশে গাছে শিশু তুহিনের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেছেন।
-ওএএফ