আওয়ার ইসলাম: উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী শহর রাস আল আইন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে তুরস্ক। তুর্কি সমর্থিত সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ওই অঞ্চলটি দখলে নিয়েছে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস তুরস্কের সেনাবাহিনী ওই শহরে প্রবেশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি জানায়, রাস আল আইনে এখনও লড়াই অব্যাহত রয়েছে। খবর ডেইলি সাবাহর।
তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাতভর বোমা হামলার পর শনিবার সকালে ওই শহর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, উত্তর পূর্ব সিরিয়ার রাস আল-আইন শহরটির ওপর কামানের গোলা বর্ষণ করা হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে আকাশে উঠছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। শোনা যাচ্ছে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ । তুরস্কের যুদ্ধবিমানগুলো আকাশে চক্কর দিচ্ছে।
তবে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) তুরস্কের এমন দাবি অস্বীকার করেছে। এসডিএফ’র একজন কর্মকর্তা বলেন, তুরস্কের দাবি সঠিক নয়, রাস আল আইনে এখনও সংঘর্ষ চলছে।
কুর্দি মিলিশিয়াদের হটিয়ে নিরাপদ অঞ্চল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বুধবার থেকে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় অভিযান শুরু করে তুরস্কের সেনাবাহিনী।
বুধবার ভোরের দিকে তুর্কি সেনাবাহিনীর অগ্রবর্তী দলগুলো তাল আবায়াদ ও রাস আল-আইন শহরের দুটি পয়েন্ট দিয়ে সিরিয়ায় ঢোকে বলে তুরস্কের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
এরপর থেকে বিমান হামলা চালানোর পাশাপাশি তাদের সেনাবাহিনী ও তুর্কি সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীরা তেল আবায়াদ ও রাস আল-আইনের ৪টি পয়েন্ট দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে।
চলমান অভিযান বিমান হামলা ও স্থল অভিযান জোরালো করেছে তুরস্ক। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তু দখল করেছে।
এছাড়া সীমান্তের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে তুমুল লড়াই চলছে। অভিযান শুরুর পর বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ।
আরএম/