আওয়ার ইসলাম: আল-আকসা মসজিদে শিগগিরই ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতি দিতে যাচ্ছে দখলদার ইসলায়েল। দেশটির জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী গিলাদ এরদান দেশটির ডানপন্থী সংবাদমাধ্যম ‘ম্যাকর রিশন’র অনুরোধের পর শুক্রবার ওই সম্ভাবনার কথা জানান।-খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
ইসরায়েলি মন্ত্রী এরদান বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, এটা শিগগিরই ঘটবে। স্রষ্টার ইচ্ছায়। জেরুসালেমের পরিস্থিতি স্থানটির নিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌম ক্ষমতা অর্জনের দিকে যাচ্ছে। আমরা যখন আমাদের লক্ষ্যে (ইহুদিদের জন্য আল-আকসার দরজা খোলা) পৌঁছাব, তখন টেম্পল মাউন্টে প্রবেশ করে তারা তাদের প্রার্থনা করতে পারবে। আমি আশা করছি, এটি শিগগিরই ঘটবে।’
এরদান আরও বলেন, যখন আমরা এই পর্যায়ে পৌঁছাব তখন ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক স্বার্থের আলোকে জেরুসালেমের ঐতিহাসিক অবস্থানের স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজ করব আমরা।
ইসরায়েলের ওই মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগাম বলতে পারি না যে, ঠিক কখন এটি ঘটবে। কারণ এটা আমাদের শক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। আমি আশা করি এটা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ঘটবে। তবে তা এক দশকের বেশি নয়।’
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ও কুটিল আঞ্চলিক পরিস্থিতি আমাদের বিবেচনা করা উচিত। আমি জর্ডানের সঙ্গে করা শান্তিচুক্তির প্রতি সম্মান করি। বিবেচনা করি এটা গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। তাই বলে একটি ঐতিহাসিক ভুলকে মেনে নেওয়া অসম্ভব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওই চুক্তির মূলনীতিও পরিবর্তিত হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটা করতে কোনও আইনি বাধা নেই। তবে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের সমর্থন থাকতে হবে।
উল্লেথ্য, আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণটি একইসঙ্গে মুসলিম ও ইহুদিদের জন্য পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়। ১৯৬৭ সালে যখন ইসরায়েল ওই এলাকা দখল করে তখন শুধু মুসলিমরাই আল-আকসায় নামাজ পড়তে পারতো। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় প্রার্থনার সুযোগ পেতেন ইহুদিরা।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
আরএম/